আগামী শরতেই আসবে সুখবর। শীতের শেষের দিকে গবেষকরা জানিয়ে দিলেন আসন্ন শরৎকালের মধ্যেই করোনাভাইরাসের নতুন স্ট্রেইন মোকাবিলার করতে সক্ষম এমত টিকা তাঁরা বিকাশ করতে পারবে। রবিবার অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনোলজির অধ্যাপক সারা গিলবার্টা জানিয়েছিন অ্যাস্ট্রোজেনেকা ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় করোনা ভ্যাকসিনের আপডেট ভার্সনটি তৈরি করতে শরৎকাল পর্যন্ত সময় নেবে। আসন্ন শরৎকালের মধ্যেই বিশ্ব নতুন টিকা ব্যবহার করতে পারবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন।
অধ্যাপক জানিয়েছেন, এটি প্রায় নতুন একটি টিকা। আবিষ্কারের প্রথম পর্যায় তাঁরা রয়েছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনাভাইরাসের নতুন যে স্ট্রেন পাওয়া গেছে সেটির বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করতে নতুন টিকাটি সক্ষম হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। আগামী শরৎকালের মধ্যেই সেটিকে ব্যবহারের উপযোগী করে তুলতে গবেষকরা জোর কদমে কাজ করছেন।
উত্তরাখণ্ডে হিমবাহ ফেটে বিপর্যয়ে মৃতদের পরিবারের পাশে প্রধানমন্ত্রী, আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধার ...
ভারতের দেওয়া করোনা-টিকা ত্রাতার ভূমিকায়, প্রতিবেশী এই দেশটিতে শুরু হল টিকা কর্মসূচি ...
বিশেষজ্ঞদের এই মন্তব্যের আগেই বায়োফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থা স্বীকার করেছে বর্তমান ভ্যাকসিন সংস্করণ এজেডডি ১২২২, দক্ষিণ আফ্রিকার বি ১.৩৫১-র বিরুদ্ধে কার্যকারিতা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করছে। এক মুখাপাত্র জানিয়েছেন, ছোট পর্বের দ্বিতীয় ও পরীক্ষার প্রাথমিক তথ্যে দেখা গেছে আগেরটি হালকা রোগের বিরুদ্ধে সীমিত কার্যকারিতা দেখিয়েছে। গিলবার্ট বলেছেন গবেষকরা চাইছেন এবছরের মধ্যেই নতুন স্ট্রেনের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ভ্যাকসিন তৈরি করছে। তাঁরা চাইছেন নতুন রূপকে স্বীকৃতি দেয় এমন অ্যান্টিবডি তৈরি করবে। গতবছরের শেষের দিক থেকেই করোনাভাইরাসের নতুন স্ট্রেন দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বিশ্ব জুড়ে। সদ্যোই ব্রিটেন গোটা বিশ্বকে সতর্ক করে জানিয়েছে, করোনাভাইরাসের প্রায় ৪ হাজার রূপ ঘুরে বেড়াচ্ছে। যারমধ্যে তিন-চারটি ভয়ঙ্কর সংক্রামক। গত মাসেই মোদারনা জানিয়েছে এই নতুন রূপগুলির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য তারা নতুন ভ্যাকসিন তৈরি করবে। তারপরই এল অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রোজেনেকার ঘোষণা।