Omicron in UK: ওমিক্রনে ছাড়খাড় যুক্তরাজ্য - কেউ বলছেন সংক্রমণের ঝড়, কেউ বলছেন সুনামি


ওমিক্রন রূপান্তরে (Omicron Variant) ছাড়খাড় যুক্তরাজ্য (United Kingdom)। একটানা তৃতীয় দিন হল সর্বোচ্চ দৈনিক সংক্রমণের রেকর্ড। 

Web Desk - ANB | Published : Dec 18, 2021 2:51 AM IST

নভেল করোনাভাইরাসের (Novel Coronavirus) ওমিক্রন রূপান্তরে (Omicron Variant) ছাড়খাড় যুক্তরাজ্য (United Kingdom)। মহামারির শুরু থেকে কোনওদিন এত দ্রুত সংক্রমণ ছড়াতে দেখা যায়নি ব্রিটেনে। শুক্রবার ব্রিটিশ সরকার (British Govt) ৯৩,০৪৫ টি নতুন করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঘটনা রিপোর্ট করেছে। ফলে এই নিয়ে একটানা তৃতীয় দিন সেই দেশে সর্বোচ্চ দৈনিক সংক্রমণের রেকর্ড হল। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী ব্রিটেনে মহামারির শুরু থেকে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ১১ লক্ষ পার করেছে। অন্যদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাস জনিত কারণে আরও ১১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। যার ফলে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ১ লক্ষ ৪৭ হাজার পেরিয়ে গিয়েছে। 

ওমিক্রণের প্রভাবে গোটা যুক্তরাজ্যেই এখন ত্রাহি ত্রাহি রহ উঠেছে। স্কটল্যান্ডের (Scotland) ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টার্জন (Nicola Sturgeon), ওমিক্রন সংক্রমণকে সুনামির (Tsunami) সঙ্গে তুলনা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ওমিক্রন ভেরিয়েন্টই এখন তাদের দেশের সবথেকে প্রভাবশালী করোনভাইরাস স্ট্রেন। তিনি জানিয়েছেন, এক সপ্তাহ আগেই তিনি এই 'সুনামি' সম্পর্কে সতর্ক করেছিলেন, সেই সুনামি এখন এসে গিয়েছে। ওয়েলশ-এর (Walse) নেতা মার্ক ড্রেকফোর্ড (Mark Drakeford) আবার 'ওমিক্রনের ঝড়' এর মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত হতে বলে, তাঁর দেশের নাগরিকদের সতর্ক করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ২৬ ডিসেম্বরের পর দেশের সব  পাব-বার-নাইটক্লাব বন্ধ করে দেওয়া হবে। দোকান এবং কর্মক্ষেত্রে ফের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নিয়ম বলবৎ হবে।

এদিকে, ব্রিটিশ সরকার বর্তমানে একটি গণ বুস্টার ডোজ অভিযান (Mass Booster Dose Drive) চালাচ্ছে। চলতি বছর ফুরোবার আগেই যত বেশি সম্ভব নাগরিককে টিকা দেওয়াই তাদের লক্ষ্য। ওমিক্রন সংক্রমণের সঙ্গে যেন টিকাদানের গতির প্রতিযোগিতা চলছে। প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন (Boris Johnson) বলেছেন, সমগ্র ইউরোপের মধ্যে ভ্যাকসিন দানের ক্ষেত্রে দ্রুততম হওয়ার লক্ষ্য নিয়েছেন তাঁরা। সেটা নিশ্চিত করতে পারলে, ওমিক্রনের ভেরিয়েন্টের কারণে গুরুতর ক্ষতিকর পরিণতি এড়ানো যাবে বলে, মনে করছেন তাঁরা। তবে, পরিস্থিতিটা জনসনের জন্য শাঁখের কড়াতের মতো। একদিকে, ওমিক্রনের দাপট ক্রমেই বাড়ছে। অন্যদিকে আরো কঠোর কোভিড বিধি-নিষেধ জারি করতে গেলে বিদ্রোহ করতে পারে দলের লিবার্টিয়ান অংশ। ফলে, নতুন ভেরিয়েন্ট নিয়ে দারুণ চাপে রয়েছেন তিনি। তবে, জনসন সরকারের মন্ত্রী অলিভার ডাউডেন (Oliver Dowden) দাবি করেছেন, সরকারের সঠিক ভারসাম্য নিয়ে কোভিড মোকাবিলায় অগ্রসর হচ্ছে।

Share this article
click me!