প্রয়াত ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই তাঁর স্বাস্থ্য নিয়ে টানাপোড়েন ছিল। পরিবারের সদস্যরাও চলে গিয়েছিলেন স্কটল্যান্ডে। সেখানেই ৯৭ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন দ্বিতীয় এলিজাবেথ। গত ৭০ বছর তিনি ব্রিটেনের মসনদে বসেছিলেন।
প্রয়াত ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই তাঁর স্বাস্থ্য নিয়ে টানাপোড়েন ছিল। পরিবারের সদস্যরাও চলে গিয়েছিলেন স্কটল্যান্ডে। সেখানেই ৯৭ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন দ্বিতীয় এলিজাবেথ। গত ৭০ বছর তিনি ব্রিটেনের মসনদে বসেছিলেন। তাঁর জমানায় ১৫ জন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন। দ্বিতীয় এলিজাবেথই ছিলেন ব্রিটেনের সবথেকে লম্বা সময়ের রানি।
ব্রিটেনের রাজপরিবারের পক্ষ থেকে টুইট করে জানান হয়েছে 'রানি আজ বিকেলে মারা গেছেন। আজ সন্ধ্যায় বালমোরালে শায়িত থাকবেন তিনি। আগামিকাল লন্ডনে নিয়ে যাওয়া হবে তাঁর দেহ।' বাকিংহাম প্যালেস জানিয়েছেন বৃহস্পতিবার ডাক্তাররা তাঁর স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। তারপরই রাজপরিবারের সদস্য ও ঘনিষ্ঠরা স্কটল্যান্ডে চলে যায়। পরিবারের সকল সদসয্ই শেষ সময় রানির পাশে উপস্থিত ছিলেন। ব্রিটেনের রাজপরিবার থেকে দূরত্ব বাড়লেই হ্যারি ও মেগান মার্কলে শেষ সময়ে রানির পাশে উপস্থিত ছিলেন।
১৯২৬ সালের ২১ এপ্রিল জন্ম হয় দ্বিতীয় এলিজাবেথের। তবে ব্রিটেনের রাজপাট যে তিনি সামলাবেন এমন কোনও কথা ছিল না। কারণ তাঁর বাবা প্রিন্স অ্যালবার্ট ছিলেন রাজা পঞ্চম জর্জের ছোট ছেলে। তাই রাজা হওয়ার যোগ্য দাবিদার ছিলেন অষ্টম এডওয়ার্ড। কিন্তু বিবাহবিচ্ছন মহিলা বিয়ে করার ব্রিটেনের সংহাসনের মোহ ছাড়তে হয় তাঁকে। কিছুটা অপ্রত্যাশিত ভাবেই ব্রিটেনের রানি হয় এলিজাবেথ। ১৯৫৩ সালের ২ জুন তাঁর রাজ্যাভিষেক হয়। তারপরই উত্তর আয়ারল্যান্ডের রাজদণ্ড তুলে দেন তিনি।
রানি হিসেবে দীর্ঘ দিন ব্রিটেনর মসনদে থাকার সময় তাঁকে একাধিকবার সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল। তাঁর সিংহাসন মোটেও নিষ্কন্টক ছিল না। রানি হওয়ার পরই সন্তানদের অবহেলা করছেন- এমন সমালোচনা যেমন শুনতে হয়েছিল। তেমনি ডায়নার মৃত্যুর পরই কাঠগড়ায় দাঁড়কানো হয়েছিল ব্রিটেনের রাজপরিবারকে। সেখান থেকে বাদ দেওয়া হয়নি রানিকেও। মেগানও যখন রাজপরিবারের বিরুদ্ধে বর্ণবিদ্বেষের অভিযোগ এনেছিলেন তখনও সমানোচনার মুখে পড়তে হয় তাঁকে। যাইহোক দীর্ঘ সময়ের রাজপাটের দায়িত্ব সামলেও তিনি কর্তব্যকেই প্রাধান্য দিয়েছেন। অসুস্থ শরীর নিয়ে বরিস জনসনকেও বিদায় জানানোর অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন তিনি।
জুন মাসে, যুক্তরাজ্য ব্রিটিশ সিংহাসনে রানির আরোহণের ৭০ তম বার্ষিকী উপলক্ষে প্লাটিনাম জুবিলি উদযাপনের জন্য একত্রিত হয়েছিল। তার স্বামী, প্রিন্স ফিলিপ, তার ১০০ তম জন্মদিনের দুই মাস আগে ৯৯ বছর বয়সে গত বছর মারা যান।