সাধারণতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হবেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ভারতের এই আমন্ত্রণ গ্রহণ করে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জানান হয়েছে এটি একটি বিরল সম্মান। গত বছর ব্রিটেনের দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন তিনি। তারপর ভারত সফরই প্রথম বড় দ্বিপাক্ষিক সফর হবে বলেও তাঁর অফিস থেকে জানান হয়েছে। একই সঙ্গে ভারত সফরের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং। তিনি জানিয়েছেন গ্লোবাল ব্রিটেনের জন্য আগামী বছরটি একটি বিশেষ বছর হয়ে থাকবে। কারণ আগামী বছর শুরুই হবে তাঁর ভযারত সফর দিয়ে। জানিয়েছেন বরিস জনসন।
বরিস জনসন জানিয়েছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও তিনি দুটি দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও গভীর করতে উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। তারই কোয়ান্টাম লিপ দেওয়ার অপেক্ষায় তিনি রয়েছেন বলেও জানিয়েছেন। ১৯৯৩ সালে সাধারণতন্ত্র দিবসের অতিথি হয়ে ভারতে এসেছিলেন তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জন মেজর। তারপর কেটেগেছে তিন দশক। দীর্ঘ দিন পরে সাধারণতন্ত্র দিসেবের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিতে আসছেন বরিস জনসন। ব্রিটেনের বিদেশ সচিব ডমিনিক রব মঙ্গলবার জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ভারতে ২৬ জানুয়ারি সাধারণতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হয়ে উপস্থিত থাকার আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন। ভারতের বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন জনসনের ভারত সফর, একটি নতুন যুগের প্রতীক হয়ে থাকবে। ভারত ও ব্রিটেনের মধ্যে সম্পর্কের একটি নতুন পর্বের সূচনা হবে।
আগামী বছর ব্রিটেনে অনুষ্ঠিত হবে জি-৭ শীর্ষ সম্মেলেন। সেই অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন জনসন। সূত্রের খবর গত ২৭ নভেম্বর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে টেলিফোন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই সময়ই তিনি সাধারণতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। তারপর সরকারি স্তরে প্রস্তাব পাঠান হয় ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর কাছে। আর সপ্তাহ শুরুতেই তা গ্রহণ করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জনসন।