পত্রলেখা বসু চন্দ্র, বর্ধমান: সম্পর্ক ভেঙে গিয়েছে, কিন্তু পিছু ছাড়তে নারাজ প্রাক্তন প্রেমিক। দশমীর সন্ধ্যায় দেবীবরণ চলাকালীন সকলের সামনেই নাবালিকার সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে দিল সে! লোকলজ্জায় ভয়ে শেষপর্যন্ত আত্মহত্যা করল স্কুল ছাত্রী। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: বন্ধুর স্ত্রীকে পেতে বন্ধুকে খুন, মৃত দেহ ঘরে রেখেই রাত্রিযাপন বন্ধুর স্ত্রী -র সঙ্গে
জানা গিয়েছে, বছর সতেরো ওই নাবালিকার বাড়ি কেতুগ্রামের বিল্লেশ্বর গ্রামে। স্থানীয় একটি স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী ছিল সে। সোমবার স্থানীয় একটি বারোয়ারি পুজোর বিসর্জন ছিল। দেবীবরণের জন্য় মণ্ডপে ভিড় করেছিলেন স্থানীয় মহিলারা। ভিড় মধ্যে দাঁড়িয়েছিল ওই স্কুল ছাত্রীও। সেই সুযোগেই বাবুসোনা দাস নামে এক যুবক তার মাথার সিঁথিতে ও মুখে সিঁদুর মাখিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। ঘটনার আকস্মিকতায় হতচকিত হয়ে যায় মেয়েটি এবং লজ্জায় বাড়ি চলে যায়। ঘর থেকে আর বের হয়নি। শেষপর্যন্ত বাড়ির দোতলা থেকে ওই নাবালিকাকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করেন পরিবারের লোকেরাই। হাসপাতালে নিয়ে গেলে, কিছুক্ষণের মধ্যে মারাও যায় ওই স্কুলছাত্রী। এরপর কেতুগ্রাম থানা বাবুসোনা দাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন মৃতের পরিবারের লোকেরা। রাতেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্যের রহস্যমৃত্যু, বাড়িতে মিলল ঝুলন্ত দেহ, চাঞ্চল্য মালদহে
কিন্তু পুজো মণ্ডপে ভিড়ের মধ্যে কেন ওই নাবালিকার সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে দিল ধৃত যুবক? জানা গিয়েছে, বছর পাঁচেক আগে বাবুসোনার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে ওই নাবালিকা। বাড়ির লোকেরা বোঝানোর পর অবশ্য সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে এসেছিল সে। পরিবারের লোকেদের অভিযোগ, সম্পর্ক ছিন্ন করার পরেও মেয়ে মাঝেমধ্যে উত্যক্ত করত অভিযুক্ত যুবক। কিন্তু বেশি বাড়াবাড়ি করার সাহস হয়নি তার। কিন্তু সে যে এমন কাণ্ড ঘটাবে, তা আঁচ করতে পারেননি কেউই।