কঠিন অসুখে শয্যাশায়ী ঘুগনি বিক্রেতা, অনাহারে দিন কাটছে পরিবারের

Published : Feb 06, 2020, 01:25 PM IST
কঠিন অসুখে শয্যাশায়ী ঘুগনি বিক্রেতা, অনাহারে দিন কাটছে পরিবারের

সংক্ষিপ্ত

রাস্তায় ঘুগনি বিক্রি করে সংসার চালাতেন তিনি কঠিন অসুখে এখন আর হাঁটাচলা করতে পারে না ওই যুবক রোজগার বন্ধ, অনাহার দিন কাটছে পরিবারের বর্ধমানের ঘটনা    

কোথা থেকে কী হয়ে গেল! দিব্যি সুস্থ-সবল একটি মানুষ এখন হাঁটাচলাই করতে পারেন না! পরিবারের রোজগার করার মতো আর কেউ নেই। কার্যত অনাহারে দিন কাটছে বাড়ির সকলের। বর্ধমানের ঘটনা। 

আরও পড়ুন: বিজেপিকর্মীর বৌভাতে নাগরিকত্বের ছোঁয়া, স্বাগত জানিয়ে ছাপালেন মেনুকার্ড

একচিলতে ঘর। ছাদের অ্য়াসবেস্টস ভেঙে পড়েছে। ভাঙা অংশটি কোনওমতে ঢেকে দেওয়া হয়েছে ফ্লেক্স দিয়ে। বর্ধমান শহরের কাঞ্জননগর রথতলা পদ্মপুকুর এলাকায় থাকেন নবা দে। মা, স্ত্রী, দুই কন্যা ও ভাইকে নিয়ে ভরা সংসার। পরিবারের একমাত্র রোজগেরে সদস্য ছিলেন নবা-ই। রাস্তায় টেবিল পেতে ঘুগনি বিক্রি করতেন তিনি। পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, হঠাৎ-ই একদিন পায়ে প্রবল যন্ত্রণা শুরু হয় ওই যুবকের। চিকিৎসার জন্য তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতায়, শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন নবা। কিন্তু অস্ত্রোপচারের পরও তিনি সুস্থ হয়ে ওঠেননি। অন্তত তেমনই দাবি পরিবারের লোকেদের। বরং অস্ত্রোপচারের পর যন্ত্রণা আরও বেড়েছে বলে অভিযোগ। আঙুল থেকে এখন গোটা শরীরের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানা দিয়েছে। শারীরিক অবস্থা এমনই যে, হাঁটাচলাও করতে পারেন না নবা।

এদিকে এই ঘটনায় মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে নবা দে-র পরিবারের। গত কয়েক মাস ধরে রোজগার বন্ধ। কখনও অনাহারে, তো কখনও আবার অর্ধাহারে দিন কাটছে বাড়ির লোকেদের।  স্থানীয় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন অসহায় পরিবারটির পাশে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু এভাবে আর কতদিন! উত্তর জানা নেই কারওই। 
 

PREV
click me!

Recommended Stories

'বকেয়া বঞ্চনায় কেন্দ্রের শর্ত অসম্মানজনক', কাগজ ছিঁড়ে প্রতিবাদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
Purba Medinipur: এক ঘণ্টায় বিজেপিকে ‘সাফ’ করার হুমকি তৃণমূল নেতাদের! পাল্টা দিয়ে চরম কটাক্ষ বিজেপির