সংশোধিত নাগরকিত্ব আইন, এনআরিস নিয়ে উত্তাল গোটা দেশ। দেশের নানা প্রান্তে চলছে বিক্ষোভ-আন্দোলন। পথে নেমেছেন বিরোধীরা। তেমনি নাগরকিত্ব আইনের সমর্থনে পাল্টা প্রচার করছে বিজেপি শিবিরও। সিএএ চলতে থাকা বিতর্কের প্রভাব পড়েছে বিয়ে বাড়িতেও। অনেক দম্পতিই সিএএ-এনআরসি বিরোধী বার্তা দিয়ে ছাপাচ্ছেন বিয়ের কার্ড। অনেক নবদম্পতি আবার নাগরিকত্ব আইনকে সমর্থনের বার্তা দিচ্ছেন নিজেদের বিয়ের অনুষ্ঠানে। এর মাঝেই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের ছোঁয়া এবার লাগল বিয়েবাড়ির মেনুতেও।
আরও পড়ুন: সোনারপুরে দিনে দুপুরে শ্যুট আউট, গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু ব্যবসায়ীর
নাগরিকত্ব আইনকে সমর্থন জানিয়ে নিজের বিয়ের অনুষ্ঠানে মেনুকার্ড ছাপালেন রায়গঞ্জের এক বিজেপিকর্মী। এই মেনুকার্ড বিয়েবাড়ির নিমন্ত্রিতদের মধ্যে ব্যাপর কৌতুহল তৈরি করে।
আরও পড়ুন: অবতরণের সময় রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ল যাত্রীবাহী বিমান, হয়ে গেল তিন টুকরো
গত বুধবার বৌভাতের অনুষ্ঠান ছিল রায়গঞ্জের দেবীনগর এলাকার বাসিন্দা বিজেপিকর্মী পার্থ ভৌমিকের। অন্যান্য আর পাঁচটা বিয়েবাড়ির মত পার্থবাবুর বিয়ের আয়োজন হলেও বিশেষত্ব ছিল মেনুকার্ডে। নাগরিকত্ব আইনকে স্বাগত জানিয়ে তৈরি এই মেনুকার্ড নিমন্ত্রিতদের মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি করে। আগ্রহ এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে বেশিরভাগ নিমন্ত্রিতই ওই মেনুকার্ড নিয়ে বাড়ি চলে যান।
সিএএ-কে সমর্থন জানিয়ে পার্থ ভৌমিকের তৈরি বিয়ের মেনুকার্ড নিয়ে গর্বিত বিজেপির উত্তর দিনাজপুর জেলা নেতৃত্ব। জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ী জানান, "কেন্দ্রীয় সরকারের নাগরিকত্ব আইনকে সাধারণ মানুষ সমর্থন করছে, এই ঘটনা তারই প্রমাণ। সারা বাংলার মানুষ এই আইনকে সমর্থন করছে। আমাদের দলের কর্মী এই আইনের সমর্থনে নিজের বৌভাতে প্রচারের যে অভিনব উদ্যোগ নিয়েছেন তাতে আমরা অভিভূত। আমিও ওই মেনুকার্ড বাড়িতে নিয়ে এসেছি।"
পাত্রের মামা প্রদীপ সরকার বলেন," এই আইনকে সমর্থন জানানোর পাশাপাশি মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করছি।" সেই কারণেই বৌভাতের মেনুকার্ডে এই অভিনব উদ্যোগ।
তবে কেবল প্রচার পাওয়ার জন্যই ওই বিজেপিকর্মী এই কাজ করেছেন বলে দাবি করছেন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল। তিনি বলেন, "সাধারণ মানুষ নাগরিকত্ব আইনকে সমর্থন করেননি।" সেই কারণেই দলীয় কর্মীর বিয়ের মেনুকার্ডে সিএএ নিয়ে প্রচার করে সস্তা জনপ্রিয়তা কুড়োতে চাইছে পদ্মশিবির।