আদালতের নিষেধাজ্ঞা না মেনে কী বাজি পোড়ানো হচ্ছিল নাকি শট সার্কিট? কালীপুজো রাতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড আসানসোলে। ভষ্মীভূত হয়ে গেল দশটি বাড়ি ও দোকান। প্রাণ হারালেন এক একজন। কুলটিতে বরাতজোরে আগুনের হাত থেকে রক্ষা পেল একটি পরিবার।
আরওপড়ুন: না ফেরার দেশে 'পুলু', সৌমিত্রর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ পৈত্রিক ভিটে কৃষ্ণনগর
জানা গিয়েছে, আসানসোল উত্তর থানার অন্তর্গত তপসী বাবার মন্দিরের কাছে পরপর বেশ কয়েকটি দোকান রয়েছে। কোনওটিই পাকা নয়, সবই অস্থায়ী ঝুপড়ি। শনিবার, দীপাবলীর রাতে আচমকাই আগুন লেগে যায় দোকানগুলিতে। চোখের নিমেষে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নেয়। অকে একে আগুনে লেলিহান শিখা গ্রাস করে সবকটি দোকানকেই। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকল। কিন্তু যখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে, তখন দোকানগুলির আর কিছুই অবশিষ্ট ছিল না। এমনকী, একজনের অগ্নিদগ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার হয়। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে আসানসোল জেলা হাসপাতালে। কীভাবে এমন ভয়াবহ আগুন লাগল? জানা গিয়েছে, পুড়ে যাওয়া দোকানগুলি মধ্যে একটি ইলেকট্রিকের দোকানও ছিল। সেক্ষেত্রে ওই দোকানে শট সার্কিটের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া দেওয়া যাচ্ছে। আবার দীপাবলির রাতে বাজি কিংবা প্রদীপ থেকে আগুন লাগতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: করোনা থেকে 'পরিত্রাণ', দর্শনার্থীদের মাস্ক-স্যানিটাইজার বিতরণ করল নিমতা শ্যামাপূজা কমিটি
এদিকে কুলটির আজাদবস্তি এলাকায় শুক্রবার রাতে একটি বস্তিতে আগুন লেগে যায়। তখন বাড়ির বাইরে থাকায় বরাতজোরে রক্ষা পেয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। চেষ্টা করেও আগুন নেভাতে পারেননি স্থানীয় বাসিন্দারা। বাড়িটি তো বটেই, পুড়ে গিয়েছে নগদ টাকা-সহ বেশ কিছু মূল্য়বান সামগ্রীও। শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে বলে প্রাথমিক অনুমান।