সত্তরের দশকে বর্ধমানের গোলাপবাগ ক্যাম্পাসে চালু হয়েছিল তত্ত্ব দেওয়ার রীতি। প্রথা মেনে সরস্বতী পুজোর পরের দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক পড়ুয়ারা তত্ত্বের ডালি সাজিয়ে বাজনা বাজিয়ে একে অপরের সঙ্গে সৌহার্দ্য বিনিময় করত। সেই প্রথা চলে আসছে বছরের পর বছর। এবারও অন্যথা হয়নি সেই নিয়মের।
আরও পড়ুন: চাঁদে হানিমুনে যাওয়ার জন্য জীবনসঙ্গী খুঁজছেন, পাত্রী পাচ্ছেন না ধনকুবের পাত্র
সেই প্রথা মেনে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে এবছরও সরস্বতী পুজোর পরের দিন তত্ত্বের ডালি আদান প্রদান করলেন। এই তত্ত্বের ডালি আদান-প্রদানের মাধ্যেম চলে বন্ধুত্বের নিবিড় বন্ধন গড়ে তোলা। অনেকেই এদিন নিজের পছন্দের মানুষকে জানিয়ে দেন মনের কথা।
সকাল থেকেই গার্গী, নিবেদিতা, সরোজিনী, মিরাবাঈয়ের আবাসিক ছাত্রীরা বিয়ের মত গায়ে হলুদের সাজে তত্ত্বের ডালা সাজিয়ে রঙ বেরঙের শাড়ি পরে হাজির হয়েছিলেন অরবিন্দ, নেতাজি, চিত্তরঞ্জন, বিবেকানন্দ ও রবীন্দ্র ছাত্রাবাসে। একই ভাবে ছেলেদের ছাত্রাবাস থেকে উপহারের ডালি সাজিয়ে বাদ্যযন্ত্র সহকারে ছাত্ররা আসেন ছাত্রীদের আবাসনে।
আরও পড়ুন: ট্রাফিক সমস্যায় জর্জরিত বিশ্বের প্রথম ৫টি শহরের ৩টি ভারতে, শীর্ষে রয়েছে বেঙ্গালুরু
একে অপরের সঙ্গে দেখা হওয়ার পর চলে অতিথি আপ্যায়ন। থাকে দেদার খাওয়া-দাওয়া। বিয়ের ডালির মত সাজানো তত্ত্বের ডালিতে থাকে নানা উপহার। নতুন জামা কাপড় থেকে কসমেটিক্স, চকোলেট, বিভিন্ন রকমের মিষ্টি ও সন্দেশ সব কিছুই হাজির থাকে এই উপহারের ডালিতে।
তবে কেবল তত্ত্বতেই আটকে থাকে না এদিন। সারা বছর ছাত্রী আবাসনে প্রবেশের ব্যাপারে থাকে নানা বিধিনিষেধ। সরস্বতী পুজো উপলক্ষে সেই রুদ্ধদ্বার খোলা হয় এদিন। সরস্বতী পুজোর পরের দিন তত্ত্ব আদানপ্রদানের মাধ্যেম নিবিড় হয় বন্ধুত্বের সুসম্পর্ক, এটনটাই দাবি ছাত্রছাত্রীদের।
তাই ফুল ফুটুক না ফুটুক এগিন গোলাপবাগ ক্যাম্পাসে আজ রঙিন বসন্ত। যেন বাঙালির ভ্যালেন্টাইন ডে। হৃদয়ের সঙ্গে হৃদয়ের ভালোবাসায় গড়ে ওঠে নতুন প্রেম। তাই ভাললাগার মানুষকে এদিন মনের কথাটা জানানোর একেবারে আদর্শ দিন।