পণের দাবিতে শ্বশুরবাড়িতে 'অত্যাচার', বিয়ের দেড় বছরের মাথায় আত্মঘাতী বধূ

  • বিয়ের দেড় বছরের মাথায় নির্মম পরিণতি
  • পণের বলি হলেন তরুণী গৃহবধূ
  • শ্বশুরবাড়িতে অত্যাচার করলেন আত্মহত্যা
  • শোকের ছায়া পূর্ব বর্ধমানের কালনায়
     

Asianet News Bangla | Published : Aug 22, 2020 3:27 PM IST / Updated: Aug 22 2020, 08:59 PM IST

পত্রলেখা বসু চন্দ্র, বর্ধমান: ফের পণের বলি হলেন গৃহবধূ। শ্বশুরবাড়িতে মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করলেন তিনি। তাও বিয়ের মাত্র দেড় বছরের মাথায়! মর্মান্তিক ঘটনাটি পূর্ব বর্ধমানের কালনায়।

আরও পড়ুন: চা-চক্রের আগেই বিজেপির মঞ্চ ভাঙচুর, নিমতায় কাঠগড়ায় তৃণমূল

মৃতার নাম মাম্পি হালদার। বাপের বাড়ি, কালনার নন্দগ্রামে। মাত্র দেড় বছর আগে কালনারই কৃষ্ণদেবপুর রাজবংশী পাড়ার যুবক নবদ্বীপ হালদারের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। কিন্তু দাম্পত্য়জীবনে সুখ ছিল না। অভিযোগ,  বিয়ের মাস ছয়েক পর থেকে পণের দাবিতে মাম্পির অত্যাচার শুরু করে দেন স্বামী ও শ্বশুরবাড়ি লোকেরা। মানসিক তো বটেই, শারীরিক অত্যাচারও চলত। অত্যাচারের মাত্রা এতটাই বেড়ে গিয়েছিল যে, বাধ্য হয়ে বাপের বাড়িতে চলে আসেন ওই তরুণী।  কিন্তু এভাবে আর কতদিন চলবে! অভিমানে বাপের বাড়িতে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করলেন তিনি। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে এলাকায়।

আরও কৌশিকী অমাবস্যার পর কাটল অচলাবস্থা, ফের খুলছে তারাপীঠের মন্দির

শনিবার সকালে দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য আনা হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। ঘটনাস্থলে থেকে একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার করেছে পুলিশ। পূলিশ সূত্রে খবর, সুইসাইড নোটে স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির বেশ কয়েকজনের নাম লিখে গিয়েছে আত্মঘাতী বধূ। মেয়ের শ্বশুরবাড়ি লোকেদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগও দায়ের করেছেন মৃতার বাবা। অভিযুক্তেরা পলাতক।

Share this article
click me!