আশিষ মণ্ডল, বীরভূম: কৌশিকী অমাবস্যায় পূর্ণ্যার্থী ঢুকে পড়েছিলেন বন্ধ মন্দিরে। নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা না করে গর্ভগৃহে পুজো দিয়েছিলেন খোদ পুলিশ সুপারই। সোমবার থেকে ফের খুলে যাচ্ছে তারাপীঠ।
আরও পড়ুন: গণেশ পুজো দিয়েই দেবী আগমনের বার্তা,বিগ বাজেটের খূঁটিপুজো পুরুলিয়ায়
লকডাউনে তারাপীঠের মন্দির বন্ধ ছিল মাস তিনেক। তখনও অবশ্য নিত্যপুজো ছেদ পড়েনি। আনলক পর্বে দফায় দফায় বৈঠকের পর রথযাত্রা যাত্রা ফের মন্দির দরজা খুলে দেওয়া হয়। করোনা সতর্কতায় বাঁশে ব্যারিকেড দিয়ে ঘেরা ফেলা হয় গর্ভগৃহ। সেবাইত ছাড়া কারও-এর সেখানে প্রবেশের অনুমতি ছিল না। পূর্ণ্যার্থীদের মন্দিরের বাইরে থেকে বিগ্রহ দর্শনের ব্যবস্থা হয়। এভাবে চলে মাস খানেক। কিন্তু ঘটনা হল, করোনা আতঙ্কে তারাপীঠে কিন্তু তেমন ভিড় হচ্ছিল না।
এরইমধ্যে আবার তেরো জুলাই উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয় রামপুরহাটে মহকুমাশাসকের দপ্তরে। সেই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, কৌশিকী অমাবস্যার ভিড় আটকাতে আটদিন তারাপীঠ মন্দির বন্ধ রাখা হবে। সাধারণ দর্শনার্থী তো বটেই, মন্দিরে ঢুকতে পারবেন না ভিআইপিরাও। যদিও শেষপর্যন্ত সেই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা যায়নি পুরোপুরি। সোমবার, কৌশিকী অমাবস্যার সকালে বহু মানুষ মন্দিরের নিচে দাঁড়িয়ে পুজো দিয়েছেন। এমনকী, ,সন্ধ্যায় মন্দির চত্বরে যজ্ঞে অংশ নেন খোদ বীরভূমের পুলিশ সুপার শ্যাম সিং। পুজোও দেন গর্ভগৃহে ঢুকে। অবশেষে সোমবার থেকে আগের নিয়ম বলবৎ রেখে ফের তারাপীঠ খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল মন্দির কমিটি।
আরও পড়ুন: ক্লাব সদস্যদের টাকায় স্বল্প বাজেটের পুজো, খুঁটি পুজোর মাধ্যমে শারদোৎসবের প্রস্তুতি
তারাপীঠ মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় বলেন, 'সব দিক বিবেচনা করে মন্দিরের দরজা খুলে দেওয়া হল। কারণ মা তারাকে সামনে রেখে বহু মানুষের রুটি রুজির ব্যবস্থা হয়। মন্দির বন্ধ থাকায় বহু মানুষ বেকার হয়ে পড়েছিলেন। তাই মন্দির খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। তবে আগের মতোই পূর্ণ্যার্থীরা গর্ভগৃহে ঢুকতে পারবে না। এমনকি কোন ভিআইপিকেও প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ফের মন্দির কমিটির ভিতরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে।'