
করোনা আবহের মধ্যেই বিমা পলিসির ওপর একাধির বিধি নিষেধ জারি হচ্ছে। শুধু তাই নয় বাড়ানো হচ্ছে বিমা পলিসির প্রিমিয়ামের খরচও। অতিমারি করোনা যেভাবে বারবার নিজের চরিত্র বদল করে ভয়ঙ্কর রুপ ধারণ করছে তাতে যথেষ্ঠ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিমা সংস্থাগুলো। কোভিডের প্রথম স্তরে বিমা কোম্পানিগুলোতে (Insurance Company) ইন্সিওরেন্স ক্লেমের মাত্রা একলাফে অনেকখানি বেড়ে গিয়েছিল। সেই জন্য বেশ কিছুটা ক্ষতির মুখে পড়েছিল বিমা সংস্থাগুলো। তাই করোনাকালে (Covid) পুনরায় সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে সেই জন্য নতুন নির্দেশিকা নিয়ে আসতে চলেছে বিমা সংস্থাগুলো। উল্লেখ্য, এতদিন পর্যন্ত জীবন ও সাধারণ বিমায় যে কোনও কঠিন রোগ থেকে সেরে ওঠার পর প্রায় তিন মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হত। এবার সেই তালিকার নয়া সংযোজন অতিমারি করোনাও। অর্থ্যাৎ কোভিড থেকে সম্পূর্ণ সুস্থ হওয়ার পরও নতুন পলিসি কিনতে গ্রাহককে তিন মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। কোভিড আক্রান্ত হয়ে যদি আপনি হাসপাতালে ভর্তি হন এবং সেখানে বিমা ব্যবাহর করে থাকেন তাহলেই নতুন পলিসি কিনতে আগামী এক থেকে তিন মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে (Have To Wait For 3 Months)।
করোনা পলিসি কেনার নতুন নিয়ম কার্যকরী করার জন্য পুনর্বিমা সংগঠন গুলোর (Reinsurance Organization) তরফে আবেদন করা হয়েছিল। তাদের অনুরোধ রাখতেই এই বিষয়টি নিয়ে নয়া সিদ্ধান্তে উর্তীর্ণ হয়েছে বিমা সংস্থা গুলো। প্রসঙ্গত, করোনার দাপট যেভাবে বাড়ছে আর সেই সঙ্গে ক্লেমের চাহিদার বাড়বাড়ন্ত দেখেই পুনর্বিমা সংগঠন গুলো করোনা পরিস্থিতিতেও নতুন বিমা কেনার জন্য ৩ মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করার সময়সীমা ধার্য করল। পুনর্বিমা সংগঠনগুলোর অনুরোধে বিমা কোম্পানিগুলোর এহেন সিদ্ধান্তে কিছুটা অসন্তুষ্ঠ বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ। তাঁদের মতে, করোনার মত মহামারি পরিস্থিতিতে জরুরি পরিষেবা পেতে মানুষের বিমার প্রয়োজন পড়ে। সেক্ষেত্রে যদি পলিসি কেনার ওপর এত কড়কড়া আরোপ করা হয় তাহলে তাহলে বহু মানুষ জীবন বিমা করানোর সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবেন। তাই একপ্রকার প্রশ্নচিহ্নের মুখে বিমা সংস্থাগুলোর এই নতুন সিদ্ধান্ত।
আরও পড়ুন-LIC Dhanrekha Plan: এলআইসি নিয়ে এল নতুন ধনরেখা প্ল্যান,তৃতীয় লিঙ্গের বিনিয়োগের সুযোগ
আরও পড়ুন-NCB –র আওতায় মোটর ইন্সিওরেন্স পলিসি, নয়া চমকে খুশি বাইক মালিকরা
অন্যদিকে ইন্সিওরেন্স ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়ার সভাপতি সুমিত বোহরার মতে, করোনাতে ফুসফুস সহ বেশ কিছু অঙ্গের ক্ষতি হয়ে থাকে যা বিমা পলিসির ঝুঁকি অনেকটা বাড়িয়ে দেয়। আর সেই ঝুঁকি কমাতেই মোটা টাকার পলিসি বিমার পুনর্বিমা করিয়ে দেয় বিমা সংস্থাগুলো। তারপর সেই পুনর্বিমার ঝুঁকি বহন করে পুনর্বিমা সংস্থাগুলো। তাই করোনাকালে ৩ মাস অপেক্ষার নতুন নিয়ম চালু করার আর্জি জানান হয় পুনর্বিমা সংস্থাগুলোর তরফে।