মোটা টাকা রোজগার করতে পারেন বাড়ির বাতিল বালতি, ব্যাটারি, বাল্ব থেকে! জানেন কীভাবে?

Earn Money from Waste Bucket Bulb Battery : বাড়িতে পুরনো বাল্ব, ভাঙা বালতি বা অকেজো ব্যাটারি থাকলে, সেগুলোকে আবর্জনা ভেবে ভুল করবেন না। একটু বুদ্ধি এবং সৃজনশীলতা প্রয়োগ করলে, এই অপ্রয়োজনীয় জিনিসগুলো থেকে মাসে ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করা সম্ভব। 

আপনার বাড়িতে কি ভাঙা প্লাস্টিকের বালতি আছে? থাকলে, আপনি সেটা দিয়ে সুন্দর টব বা ভার্টিক্যাল গার্ডেন স্ট্যান্ড তৈরি করতে পারেন। একটু রঙ, একটু সাজসজ্জা এবং ইনস্টাগ্রামে একটি ছবি, মানুষ এমন কারুকার্যপূর্ণ জিনিসপত্র ১৫০-৩০০ টাকায় কিনে থাকে। 

এই পণ্যগুলো OLX, Facebook Marketplace, বা Meesho-এর মতো প্ল্যাটফর্মেও বিক্রি করতে পারেন। আপনি চাইলে বাগানপ্রেমীদের জন্য ব্যক্তিগতকৃত নকশাও অফার করতে পারেন। একটি টব তৈরিতে ৫০ টাকা খরচ হয় এবং এটি ৩০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়।

বাড়িতে পড়ে থাকা ইনভার্টারের পুরনো বা বাইকের নষ্ট ব্যাটারি ফেলে দেওয়ার চেয়ে ভালো হবে আপনি যদি পুনর্ব্যবহারযোগ্য ইউনিটের সাথে যোগাযোগ করেন। সেখানে এই ব্যাটারিগুলো ভালো দামে কেনা হয় কারণ সেগুলো থেকে লেড এবং অন্যান্য উপাদান বের করা হয়। 

একটি ব্যাটারি ২০০-৮০০ টাকায় বিক্রি করা যেতে পারে। আশেপাশের বাড়ি থেকে পুরনো ব্যাটারি জমা করে পাইকারি দরে বিক্রি করতে পারেন। ১০টি ব্যাটারি থেকে ৫,০০০ টাকা পর্যন্ত লাভ হতে পারে।বাড়িতে যদি LED বাল্ব বা পুরনো হলুদ বাল্ব পুড়ে যায়, অর্থাৎ তাদের ফিলামেন্ট পুড়ে যায়, তাহলে সেগুলো দিয়ে শিল্পকর্ম তৈরি করে আয় করতে পারেন। 

YouTube এবং Pinterest-এ DIY ভিডিও দেখে এই বাল্ব থেকে ল্যাম্পশেড, শোপিস, টেরারিয়াম বা ছোট টব তৈরি করতে পারেন। এগুলো অনলাইনে কাস্টম সাজসজ্জার জিনিসপত্র হিসেবে বিক্রি করতে পারেন। বাড়ির সাজসজ্জার দোকানগুলোতে সরবরাহ করতে পারেন। ১টি বাল্ব থেকে ১০০-১৫০ টাকা পর্যন্ত লাভ হতে পারে।

ধরুন, ভাঙা বালতি থেকে মাসে ২০টি টব বা বাড়ির সাজসজ্জার জিনিসপত্র তৈরি করছেন এবং প্রতিটিতে ১৫০ টাকা লাভ হচ্ছে, তাহলে মাসে ৩,০০০ টাকা পর্যন্ত আয় হতে পারে। 

পুরনো ব্যাটারি যদি মাসে ১০টি পিস পুনর্ব্যবহারযোগ্য ইউনিটে বিক্রি করেন, তাহলে ৪০০-৮০০ টাকা প্রতি পিস লাভ হতে পারে, এইভাবে মাসে ৪,০০০-৮,০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারেন।

পোড়া বাল্ব থেকে যদি মাসে ২০টি DIY শোপিস বা ছোট টব তৈরি করে ১০০ টাকায় বিক্রি করেন, তাহলে মাসে ২,০০০ টাকা আয় হবে। এইভাবে মাসিক ৯,০০০ থেকে ১৩,০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারেন। 

তবে, এটি আপনার নেটওয়ার্ক, পরিশ্রম এবং বাজারজাতকরণের উপর নির্ভর করে।শুরুতে যদি ১০-১৫টি জিনিসপত্র তৈরি করে বিক্রি করেন, তবুও ৩,০০০-৫,০০০ টাকা আয় হতে পারে। 

সময়ের সাথে সাথে যখন আপনি গ্রাহক তৈরি করবেন, তখন এটি ১৫,০০০-২০,০০০ টাকা পর্যন্তও যেতে পারে। আপনার তৈরি পণ্যগুলো স্থানীয় বাজার, হাট বাজার বা সাপ্তাহিক বাজারে বিক্রি করে গ্রাহক, নেটওয়ার্ক এবং অর্থ উপার্জন করতে পারেন।