নির্মলা সীতারমণ আরও বলেছেন, ২৪ আর্থবর্ষে বিশ্ব শক্তি মূল্য সূচকে একটি বড় পতন হলেও সেখানে খুচরো জ্বালানিতে দামের বিশেষ হেরফের করা হয়নি।
পেট্রোল-ডিজেল থেকে রান্নার গ্যাস- গত আর্থিক বছরে (২০২৩-২৪) দেশের সমস্ত অত্যাবশ্যকীয় জ্বালানির দাম কমিয়েছে সরকার। ভারতীয় বিশ্বের একমাত্র বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ- যারা এই পদক্ষেপ করেছে। সংসদে দাঁড়িয়ে আর্থিক সমীক্ষা রিপোর্টে এমনটাই দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। নিয়ম মেনে বাজেট পেশের আগের দিনে আর্থিক সমীক্ষা রিপোর্ট পেশ করেন নির্মলা। সেখানেই তিনি দাবি করেন জিডিপি বৃদ্ধির হার থেকে শুরু করে মুদ্রাস্ফীতি ও কর্মসংস্থানের মত একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে রয়েছে।
নির্মলা সীতারমণ আরও বলেছেন, ২৪ আর্থবর্ষে বিশ্ব শক্তি মূল্য সূচকে একটি বড় পতন হলেও সেখানে খুচরো জ্বালানিতে দামের বিশেষ হেরফের করা হয়নি। কেন্দ্রের দাবি পেট্রোল ডিজেলের দাম কমানোর জেরে ২০২৪ অর্থবর্ষে খুচরো জ্বালানির মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল বেশ কম। গত অর্থবর্ষে গ্লোবাল এনার্জি প্রাইস ইনডেক্সেও পতন দেখা গিয়েছিল। ভারতের উপরও তার প্রভাব পড়েছে।
র্থিক সমীক্ষা রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২৩-র অগাস্টে সিলিন্ডার প্রতি ২০০ টাকা করে কমানো হয় রান্নার গ্যাসের দাম। অন্যদিকে চলতি বছরের মার্চে পেট্রল ও ডিজেলের মূল্য হ্রাস হয়েছে লিটার প্রতি ২ টাকা। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে গত বছর প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে দেশের কৃষি ব্যবস্থা বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছিল। যার কারণে ঘরোয়া বাজারে বেড়েছে খাদ্য দ্রব্যের দাম। ২০২৪ সালে খাদ্য মুদ্রাস্ফীতির হার ৭.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২৩ সালে তা ছিল ৬.৬ শতাংশ। ওই রিপোর্টে ২০৩০-র মধ্যে ৭৮.৫ লাখ কর্মসংস্থান তৈরির কথা বলা হয়েছে।
এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট পেশ করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। সেখানে সৌরবিদ্যুৎ প্রসারের জন্য ৭৫ হাজার ২১ কোটি টাকা বরাদ্দ করেন তিনি। ফলে চালু হয় ‘পিএম সৌর ঘর’ প্রকল্প। এতে ১৭ লাখ কর্মসংস্থান তৈরি হবে বলে আর্থিক সমীক্ষা রিপোর্টে রয়েছে উল্লেখ।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।