বিশেষজ্ঞদের মতে, সরকার অন্তর্বর্তীকালীন বাজেটে বড় কোনো ঘোষণা করবে না, যদিও অর্থমন্ত্রীর কাছ থেকে প্রতিটি খাতের প্রত্যাশা রয়েছে। দেশের সবচেয়ে বড় করদাতা হচ্ছে বেতন শ্রেণী এবং তাদেরও এই বাজেট থেকে অনেক প্রত্যাশা রয়েছে।
১ ফেব্রুয়ারি সংসদে বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। লোকসভা নির্বাচনের আগে এটাই হবে সরকারের শেষ বাজেট। এটা নির্বাচনের বছর, তাই এ বছর সরকার অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট পেশ করবে, এমন পরিস্থিতিতে এই বাজেট খুব একটা সুখবর দেবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে অন্তর্বর্তীকালীন বাজেটের মাধ্যমে সরকার নিশ্চিতভাবেই বড় ভোটব্যাংকে ধাক্কা দেওয়ার চেষ্টা করতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সরকার অন্তর্বর্তীকালীন বাজেটে বড় কোনো ঘোষণা করবে না, যদিও অর্থমন্ত্রীর কাছ থেকে প্রতিটি খাতের প্রত্যাশা রয়েছে। দেশের সবচেয়ে বড় করদাতা হচ্ছে বেতন শ্রেণী এবং তাদেরও এই বাজেট থেকে অনেক প্রত্যাশা রয়েছে।
ভারতের দ্রুতগতির অর্থনীতির সবচেয়ে বড় সারথি হল বেতন শ্রেণী। দেশের অর্থনীতিতে তাদের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। এমতাবস্থায় বাজেট থেকে তাদেরও বিশেষ প্রত্যাশা রয়েছে। শ্রমজীবী মানুষ যারা করের বোঝা টানেন, তাদের এই বাজেট থেকে পাঁচটি প্রত্যাশা রয়েছে।
চাকরিজীবীদের প্রত্যাশা কী?
করের পুরনো ও নতুন শাসনের মধ্যে আটকে থাকা বেতনভোগী শ্রেণি এই বিভ্রান্তি থেকে বেরিয়ে আসতে চায়। কর ব্যবস্থার জন্য সরকারের একটি স্ল্যাব রাখা উচিত বলে চাকরিজীবীদের প্রত্যাশা।
চাকরিজীবীরা আশাবাদী যে সরকার এই বাজেটে পিপিএফের সীমা বাড়ানোর পাশাপাশি এর সুদের হার বাড়ানোর বিষয়ে একটি ঘোষণা করতে পারে।
কর ছাড় সংক্রান্ত বিষয়ে করদাতারা আশাবাদী যে ধারা 80C এবং 80D এর অধীনে করের সীমা বাড়ানো হবে।
এই বাজেটে সরকারের উচিত করের স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন বাড়ানোর দিকে নজর দেওয়া। কর্মরত ব্যক্তিরা আশাবাদী যে অর্থমন্ত্রী স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন ৫০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯০ হাজার টাকা করবেন।
চাকরিজীবীরা অর্থমন্ত্রীর কাছে ট্যাক্স স্ল্যাবগুলিকে যৌক্তিক করতে চান, যাতে তাদের উপর করের বোঝা কমানো যায়।
তবে বিশেষজ্ঞদের বিশ্বাস, সরকার এবারের বাজেটে কর সংক্রান্ত বড় কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার পক্ষে নয়। এবারের বাজেটে কর সংক্রান্ত বড় কোনো ঘোষণা অর্থমন্ত্রীর হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।