পরের মাসে কম বেতন হাতে পাবেন সরকারি কর্মীরা? নয়া বিজ্ঞপ্তি জারি করে কমিয়ে দেওয়া হল এই ভাতা
কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা এতদিন ৪৬ শতাংশ হারে ডিএ পেতেন। লোকসভা ভোটের দিন ঘোষণার আগেই ৪ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেয় মোদী সরকার। কিন্তু এবার এল বেশ খারাপ খবর! নয়া বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই বিশেষ সুবিধা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। জানুন বিস্তারিত।
লোকসভা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার আগেই কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের জন্য ৪ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ বাড়ানো হয়েছে। উল্লেখ্য আগে তারা ৪৬% হারে ডিএ পেতেন। তবে বর্তমানে তা বেড়ে হয়েছে ৫০ শতাংশ।
নয়া ডিএ বা মহার্ঘ্য ভাতা ১ জানুয়ারি, ২০২৪ থেকে কার্যকর হয়েছে। ইতিমধ্যেই মার্চ মাসের বেতনের সঙ্গে বর্ধিত হারে ডিএ পেয়েছেন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা।
এরই মাঝে নতুন করে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে। সম্প্রতি ডিপার্টমেন্ট অফ পেনশন অ্যান্ড পেনশনার্স ওয়েলফেয়ার, মিনিস্ট্রি অফ পার্সনেল, পাবলিক গ্রিভ্যান্সেস অ্যান্ড পেনশনস, গভর্মেন্ট অফ ইন্ডিয়ার –এর তরফে সরকারি কর্মচারীদের জন্য একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
তাতে জানানো হয়েছে সরকারি কর্মীদের ডিএ মূল বেতনের ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পাওয়ায় রিটায়ারমেন্ট গ্র্যাচুইটি এবং ডেথ গ্র্যাচুইটির সর্বোচ্চ সীমা ২৫ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি সরকারি কর্মীদের ৬ ধরনের ভাতা বৃদ্ধি করেছে কেন্দ্র। গত ২ এপ্রিল এই মর্মে প্রধানমন্ত্রী মোদীর অধীনে থাকা কেন্দ্রীয় কর্মী ও প্রশিক্ষণ বিভাগের তরফে অফিস মেমোব়্যান্ডাম জারি করে বিভিন্ন ভাতা বাড়ানোর ঘোষণা হয়েছে।
এর মধ্যে রয়েছে চিলড্রেন্স এডুকেশন অ্যালাওয়েন্স, চাইল্ড কেয়ার স্পেশাল অ্যালাওয়েন্স (বিশেষভাবে সক্ষম মহিলাদের জন্য), রিস্ক অ্যালাওয়েন্স, নাইট ডিউটি অ্যালাওয়েন্স, ওভারটাইম অ্যালাওয়েন্স, সংসদীয় অ্যাসিস্টেন্টদের জন্য বিশেষ ভাতা। এগুলি সবই কিছু না কিছু হারে বাড়ানো হচ্ছে।
তবে সেই নিয়েই এবার খারাপ খবর। ৭ মে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে ইপিএফও জনিয়ে দেয়, আপাতত গ্র্যাচুইটির সীমা বৃদ্ধির যে সিদ্ধান্ত তা স্থগিত রাখা হচ্ছে। যদিও নির্দেশিকায় এর কোনও কারণ উল্লেখ করা হয়নি।
এতদিন গ্র্যাজুইটির সর্বোচ্চ সীমা ছিল ২০ লাখ টাকা। সম্প্রতি সেটা বাড়িয়ে ২৫ লাখ করা হয়েছিল। তবে নয়া বিজ্ঞপ্তিতে ফের তা কমিয়ে দেওয়া হল। ২০ লাখ টাকায় নিয়ে আসা হল।
সেন্ট্রাল সিভিল সার্ভিস (পেনশন) রুলস, ২০২১-এর ৮ নং বিধিতে সংশোধন এনে বলা হয়েছে, যদি কোনও সরকারি কর্মচারী গর্হিত অপরাধ করেন বা কর্তব্যরত অবস্থায় নিজের দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন না করেন, সেক্ষেত্রে কড়া হাতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
একাধিক রিপোর্টে বিশেষ দাবি করা হয়েছে এই ধরণের ঘটনা উল্লেখ করে। বলা হয়েছে এক্ষেত্রে অবসরের পর গ্র্যাচুইটি এবং পেনশন আটকে দেওয়া হবে।