রিপোর্টে বলা হয়েছে খাদ্যের মূল্যবৃদ্ধি কমেনি এপ্রিলেও। গত বছরের এপ্রিলের তুলনায় দাম বেড়েছে ৮.৭০ শতাংশ হারে। ভয়াবহ হারে বেড়েছে সবজির দাম। গত বছরের তুলনায় বৃদ্ধির হার ২৭.৮০ শতাংশ।
বাজার আগুন। পকেট চড়চড়িয়ে পুড়ছে মধ্যবিত্ত ভারতের। ভয়ঙ্কর হারে দাম বেড়েছে খাবারের। এপ্রিল মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধির পরিমাণ দেখলে মাথা খারাপ হয়ে যাওয়ার যোগাড়! কেন্দ্রের পরিসংখ্যান এবং প্রকল্প রূপায়ন মন্ত্রক এপ্রিলের মূল্যবৃদ্ধির তথ্য প্রকাশ করেছে সোমবার। কী দেখানো হয়েছে সেখানে। জেনে নিন বিস্তারিত।
রিপোর্টে বলা হয়েছে খাদ্যের মূল্যবৃদ্ধি কমেনি এপ্রিলেও। গত বছরের এপ্রিলের তুলনায় দাম বেড়েছে ৮.৭০ শতাংশ হারে। ভয়াবহ হারে বেড়েছে সবজির দাম। গত বছরের তুলনায় বৃদ্ধির হার ২৭.৮০ শতাংশ। এপ্রিলে দানাশস্যের দাম বৃদ্ধির হার ৮.৬৩ শতাংশ, মাংস ও মাছে ৮.১৭ শতাংশ, ডিম ৭.০৮ শতাংশ, দুধ ২.৯৭ শতাংশ, ডাল ১৬.৯৪ শতাংশ। কেবল তেলের দাম গত বছরের এপ্রিলের তুলনায় ৯.৪৩ শতাংশ কমেছে।
নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে কেন্দ্রে বিজেপি আসীন হওয়ার পর সবচেয়ে চড়া হারে বেড়েছে ডাল এবং ভোজ্য তেলের দাম। শতাংশের বিচারে কমলেও তেলের দাম লিটারে একশো টাকা ছাড়িয়েই। মন্ত্রকের হিসেব জানিয়েছে, সব পণ্য এবং পরিষেবা হিসেবে রেখে মূল্যবৃদ্ধির মোট হার এপ্রিলে ৪.৮৩ শতাংশ। মার্চে ক্রেতা মূল্য সূচকে বৃদ্ধির হার ছিল ৪.৮৫ শতাংশ। এপ্রিলে তার চেয়ে সামান্য কম। কিন্তু তাতে শ্রমিক, কৃষক বা নিম্নবিত্ত এমনকি মধ্যবিত্তেরও স্বস্তির সুযোগ নেই।
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সুপারিশ অনুযায়ী মূল্যবৃদ্ধির হার ৪ শতাংশের আশেপাশে বেঁধে রাখা উচিত। তবে ২ শতাংশ কম বা বেশি হতে পারে। মূল্যবৃদ্ধির মোট হার ৪ শতাংশের আশেপাশে থাকলেও খাদ্যে মূল্যবৃদ্ধির হার এই সীমার ওপরেই রয়েছে। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, ঠান্ডা পড়লে সাধারণত সস্তায় আনাজ মেলে। কিন্তু গত শীতে সেটা হয়নি। তখনই বোঝা গিয়েছিল গ্রীষ্মে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বাড়বে।
গৃহস্থের সংসার খরচ বাড়িয়ে আনাজ থেকে শুরু করে ডাল, ফল ইত্যাদির দাম বেড়েছে। ডিম, মাংস, মশলা, খাদ্যশস্য ইত্যাদি একটু মাথা নামালেও যথেষ্ট চড়া। তবে সরকারি মহলের দাবি, স্বস্তি দিয়ে কমেছে মূল্যবৃদ্ধি। বর্ষা স্বাভাবিকের থেকে বেশি হওয়ার পূর্বাভাস মিলে গেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।