Share Bazar: রক্তক্ষরণের পর ঘুরে দাঁড়ালো ভারতীয় বাজার! নিফটি ৫০, খানিকটা স্বস্তিতে বিনিয়োগকারীরা

সোমবারের রক্তক্ষরণের পর ভারতীয় স্টক সূচক মঙ্গলবারে উপরে উঠেছে। বিএসই সেনসেক্স এবং নিফটি ৫০ উভয়ই উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি দেখিয়েছে, যা বিনিয়োগকারীদের শক্তিশালী অনুভূতি প্রকাশ করে।

সোমবারের রক্তক্ষরণের পর ভারতীয় স্টক সূচক মঙ্গলবারের সূচক উপরেই থাকা অবস্থায় খোলা হয়েছে।

খোলার সময়, বিএসই সেনসেক্স ছিল ৭৪,৩৩১.০০, যা ১,১৯৩.১০ পয়েন্ট বা ১.৬৩ শতাংশ বেশি, যেখানে ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে (এনএসই) নিফটি ৫০ ছিল ৩৮৫.৫০ পয়েন্ট বা ১.৭৪ শতাংশ বেড়ে ২২,৫৪৭.১০।

সমস্ত সেক্টরাল সূচক সবুজে খোলা হয়েছে, যা ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন মার্কিন প্রশাসন কর্তৃক ভারতের উপর আরোপিত শুল্কের কারণে বাজার উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাওয়ার একদিন পর শক্তিশালী বিনিয়োগকারীর অনুভূতি প্রদর্শন করে।

এনএসইতে প্রধান লাভকারীরা ছিল টাইটান কোম্পানি, টাটা স্টিল, হিন্দালকো ইন্ডাস্ট্রিজ, টাটা মোটরস, শ্রীরাম ফাইন্যান্স। বিএসইতে, মিডক্যাপ এবং স্মলক্যাপ সূচক প্রতিটি ২ শতাংশ বেড়েছে।

বাজার পর্যবেক্ষণ করে, অ্যাক্সিস সিকিউরিটিজের রিসার্চ প্রধান অক্ষয় চিনচালকর বলেন, "গতকাল নিফটি এই বছরের সবচেয়ে বড় ক্ষতির শিকার হয়েছে, কিন্তু শেষের দিকে ৪০০ পয়েন্টের বেশি পুনরুদ্ধার বুলদের জন্য উৎসাহজনক ছিল। 

এই রিবাউন্ডের ফলে ২২৫৭২-২২৬৮৫ এর সাথে একটি বুলিশ বেল্ট-হোল্ড লাইন তৈরি হয়েছে, যা পরবর্তী আপসাইড বাধা এলাকা। নিচের দিকে, ২২০১৫-২২১৩০ এলাকাটি গুরুত্বপূর্ণ।"

সোমবার, ভারতীয় স্টকগুলি বিশ্ব বাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির উপর শুল্কের প্রভাব নিয়ে ক্রমশ উদ্বেগ বাড়িয়ে রক্তক্ষরণের মতো পরিস্থিতির সাক্ষী ছিল।

বিশেষজ্ঞদের মতে, বিনিয়োগকারীরা উদ্বিগ্ন যে বিশ্ব বাণিজ্য উল্লেখযোগ্যভাবে ধীর হয়ে যেতে পারে, যা কর্পোরেট আয় এবং বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে প্রভাবিত করবে।

বাজারের প্রতিক্রিয়া আন্তর্জাতিক বাণিজ্য এবং বিশ্ব অর্থনীতির স্বাস্থ্য নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগকে প্রতিফলিত করে।

দিনের শুরুতে, সেনসেক্স এক পর্যায়ে ৫ শতাংশ কমে গিয়েছিল, কিন্তু দিন বাড়ার সাথে সাথে এটি কিছু ক্ষতি পূরণ করে এবং ৩ শতাংশ কম হয়ে বন্ধ হয়।

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক সিদ্ধান্তের পর বিশ্ব বাজারে অস্থিরতার সাথে সঙ্গতি রেখে, মার্কিন বাজারগুলিও সোমবার সকালে খোলার সাথে সাথে রক্তক্ষরণের সাক্ষী ছিল।

ট্রাম্পের পারস্পরিক শুল্ক বিশ্বব্যাপী আর্থিক বাজারে ব্যাপক পতনের দিকে পরিচালিত করেছে, এশিয়া এবং ইউরোপের বাজারগুলিও ডুবে গেছে। 

পারস্পরিক শুল্ক বিশ্বব্যাপী ইক্যুইটিগুলিতে বিক্রি শুরু করেছে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও এর ব্যতিক্রম নয়। বিনিয়োগকারীরা আশঙ্কা করছেন যে বিশ্ব বাণিজ্য সম্পর্কিত পদক্ষেপগুলি মুদ্রাস্ফীতি বাড়াতে পারে, যা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, আগামী দিনে, বিশ্ব ডেটা এবং আসন্ন আয়ের মরসুম বাজারকে পরিচালিত করবে।