বিনিয়োগ কিন্তু নিরাপদ আর লাভজনক হয় না। দ্রুত অর্থ দ্বিগুণ হওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণার অভিযোগ কম নেই বর্তমানে।
টাকা জীবনের খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। স্বনির্ভর হওয়ার জন্যই টাকা প্রয়োজনী। কিন্তু সরকারি বা বেসরকারি যাই চাকরি বা করুন না কেন সারা জীবনের জন্য সঞ্চয় করাই মূল উদ্দেশ্য। যারা ব্যবসা করেন তাদের কাছেও সঞ্চয় একটি একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করার পাশাপাশি সঞ্চয়ের লক্ষ্য হল অর্জিত অর্থ দ্রুত আরও বেশি পরিমাণে বাড়িয়ে দেওয়া। তবে আধুনিক জীবনের বিনিয়োগ কিন্তু খুব একটা নিরাপদ নয়। আর সেই কারণেই বিনিয়োগের আগে সকলেই দুইবার ভাবেন। তবে একটি জায়গা রয়েছে যেখানে সহজেই বিনিয়োগ করা যায়। বিনিয়োগ হয় নিরাপদ আর যে টাকা বিনিয়োগ করা হয় তা দ্রুত দ্বিগুণ হয়ে যায়।
তবে সব জায়গা থেকে বিনিয়োগ কিন্তু নিরাপদ আর লাভজনক হয় না। দ্রুত অর্থ দ্বিগুণ হওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণার অভিযোগ কম নেই বর্তমানে। তবে এই সময়তেই সবথেকে নিরাপদ বিনিয়োগের জায়গা হল প্রভিডেন্ট ফন্ড বাবা পিপিএফ। যারা সরকারি বা বেসরকারি সংস্থায় করেন বা অসংগঠিত ক্ষেত্রে কাড করেন তাদের জন্য এটি অত্যান্ত উপযোগী।
ভবিষ্যৎের সুরক্ষার জন্য বিনিয়োগ করতে চাইথে সব থেকে ভাল হল পিপিএফ। এখানেই প্রত্যাশা অনুযায়ী রিটার্ন পাওয়া যায়। আর এটি অত্যান্ত নিরাপদ। তবে একটি কিন্তু দীর্ঘমেয়াদী প্রকল্প। সাধারণ চাকরি যারা করেন তাদের জন্য এটি দুর্দান্ত। কারণে এটি নির্দিষ্ট সময়ে। একটা সময়ের পর থেকেই রিটার্ন পাওয়া যায়। যা আপনি অবসরের দিনগুলিতে কাজে লাগাতে পারেন।
হিসেব বলছে চাকরি জীবনের শুরু থেকে এই প্রকল্পে টাকা বিনিয়োগ করলে এক কোটি টাকা পাওয়া খুব একটা কঠিন কাজ হবে না। পিপিএফএ ১৫ বছরের জন্য অর্থ বিনিয়োগ করা যায়। মেয়াদ শেষ হলে সুদ সহ অর্থ ফেরত পাওয়া যায়। এই সময় পিপিএফ-এর সুদের পরিমাণ ৭.১০ শতাংশ। প্রতিমাসে কেউ যদি সাড়ে ১২ হাজার টাকা জমাতে পারেন তাহলে ১৫ বছর পর এই প্রকল্প থেকে মোটা টাকা পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ১৫ বছরের মেয়ার দেশ হওয়ার পরে আরও পাঁচ বছর তা চালু রাখতে পারেন। আর সেই ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ২.২৭ কোটি টাকা পেতে পারেন।