
ভারতে ২ হাজার টাকার নোট অকেজো হয়ে যাবে সেপ্টেম্বর মাসে। এই অবস্থায ৫০০ ও ১ হাজার টাকার নোট নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে নাগরিকদের মনে। বৃহস্পতিবার রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া আরও একবার পরিষ্কার করে জানিয়ে দিল ৫০০ টাকার নোট প্রত্যাহার করে নেওয়ার কোনও পরিকল্পনা নেই। নতুন করে ১০০ টাকার নোটও চালু করা হচ্ছে না।
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস ফাইনান্সিয়াল ইয়ার ২০২৪ -এর দ্বিতীয় দ্বি-মাসিক মুদ্রানীতি উন্মোচরের পর একটি সংবাদ সম্মলনে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন 'আরবিআ ৫০০ টাকার নোট প্রত্যাহার করার বা ১০০০ টাকার পুনরায় চালু করার কথা ভাবছে না।' পাশাপাশি এই বিষয়ে জনসাধারণ যে কোনও কেছু অনুমান না করেন তারও আর্জি জানিয়েছেন তিনি। এই দিন রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়াক স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে ২০০০ টাকার নোট প্রত্যাহার শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে ৫০ শতাংশ নোট ব্যাঙ্কে ফিরে এসেছে। যে নোটগুলি ফেরত এসেছে তার মূল্য ১ লক্ষ ৮২ হাজার কোটি টাকা।
২০০০ টাকার নোট বাতিলের পর থেকেই ৫০০ ও হাজার টাকার নোট নিয়ে জল্পনা বাড়তে থাকে। অনেকেই বলতে শুরু করেছিলেন যে হাজার টাকার নোট আবার ফিরে আনবে মোদী সরকার। কারণ ২০১৬ সালের নোটবন্দির সময়ই বাতিল করা হয়েছিল ৫০০ ও হাজার টাকার নোট। তারপর ৫০০ টাকার নোট চালু করা হলেও হাজার টাকার নোট চালু করা হয়নি। এই অবস্থায় ২০০০ টাকার নোট যখন বাতিলের কথা ঘোষণা করা হয় তখন থেকেই হাজার টাকার নোট ফিরের জল্পনা শুরু হয়। যদিও আগেই আরবিআই জানিয়েছিল হাজার টাকার নোট ফিরিয়ে আনার কোনও পরিকল্পনা নেই সরকার। আরও একবার নিজেদের পরিকল্পনার কথা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিল কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক।
চলতি বছর ১৯ মে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া জানিয়েছিল প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে ২ হাজার টাকার নোট। অর্থাৎ বাতিল হয়ে যাবে ২ হাজার টাকার নোট। এই নোটগুলি বিনিময় করতে হবে। নয়তো ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা করা যেতে পারে। এই দিন পর্যন্ত ২ হাজার টাকার নোটগুলি আইন দরপত্র হিসেবে অব্যাহত থাকবে। গত ২০১৬ সালে নোটবন্দির সময় রাতারাতি বাতিল করা হয়েছিল ১ হাজার ও ৫০০ টাকার নোট। এবার ৩০ সেপ্টাম্বর পর্যন্ত সময় দিয়েছে রিজার্ভব্যাঙ্ক।
আরও পড়ুনঃ
ইতিহাস তৈরি করে মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ সভায় দ্বিতীয়বার ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী