
ভারতের খুচরা মূল্যস্ফীতি জানুয়ারিতে ৫.১৯ শতাংশে নেমে এসেছে, যা তিন মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। ডিসেম্বরে ছিল ৫.৬৯ শতাংশ । সোমবার জাতীয় পরিসংখ্যান অফিস (NSO)র দেওয়া তথ্য বলছে জানুয়ারিতে খাদ্য ও পানীয়র মূল্যস্ফীতি ৮.৩ শতাংশ রেকর্ড করা হয়েছে। যা আগের মাসে ছিল ৮.৭৯ শতাংশ। গত বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালের আগস্টে মূল্যস্ফীতি ছিল ৬.৮৩ শতাংশ। যা ছিল সর্বোচ্চ।
RBI MPC গত সপ্তাহে, কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক ২০২৩-২৪-এর জন্য খুচরা মূল্যস্ফীতি ৫.৪ শতাংশে অনুমান করেছে। বর্তমান ত্রৈমাসিকের জন্য প্রজেকশনটি আগের ৫.২ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে । রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়াকে সরকার বলেছে, দুই দিকে দুই শতাংশ মার্জিন-সহ খুচরো মূল্যস্ফীতি যাতে ৪ শতাংশের মধ্যে থাকে তার দিকে নজর রাখতে। সেইমত পরিস্থিতি তৈরি করছে।
টাটা অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের সিনিয়র ফান্ড ম্যানেজার-ফিক্সড ইনকাম অখিল মিত্তল বলেছেন, আরবিআই খাদ্য মূল্য়স্ফীতিকে সাধারণ মুগ্রাস্ফীতিতে রূপান্তরিত করার ঝুঁকির কথা বলছে। সংস্থাটি আশা করছে আরবিআই যাতে সতর্ক অবস্থান বজায় রাখে। তবে মূল মুদ্রাস্ফীতি আরও কম হওয়া উচিৎ। মূল্যস্ফীতি প্রত্যাশিত হিসাবে চলমান। তিনি আরও বলেছেন, আরবিআই স্থিতিশীল অগ্রাধিকারের পথে হাঁটবে। ৪ শতাংশ মুদ্রাস্ফীতির লক্ষ্যকে পবিত্র হিসেবে বজায় রাখবে। তিনি আরও বলেছেন, এখনও পর্যন্ত আরবিআই কোনও অকাল শিথিলতা দেখাচ্ছে না। NSOর তথ্য অনুযায়ী ভারত ইন্ডেক্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রোডাকশন ডিসেম্বরে ৩.৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।