MDR-র জন্য ১৩০০ কোটি টাকার বাজেট রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের বা মোদী সরকারের। ডিজিটাল লেনদেনের ক্ষেত্রে মার্চেন্ট ডিসকাউন্ট রেটে ব্যবসায়ীদের টাকা ফেরত দেওয়ার ফলে ডিজিটাল ইন্ডিয়াতে একটি নতুন দিগন্তের উন্মোচন হবে।
বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর(Modi) নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হয় কেন্দ্রের মন্ত্রীসভার বৈঠক(Cabinet Meeting)। সেই বৈঠকে একদিকে যেমন প্রতিটি নাগরিকের ভোটার কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ডের সংযোগকে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, তেমনই আরেকটি গুকুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এই মন্ত্রীসভার বৈঠকে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রমোদীর তরফে জানান হয়েছে, আগামী ২০২২ তথেকে ২০২৩ সালে বিভিন্ন ব্যাবসায়ীরা অনলাইন মারফত যে টাকা লেনদেনের করবে মার্চেন্ট ডিসকাউন্ট রেট(MDR) তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সেই টাকা জমা করে দেওয়া হবে। তার জন্য ১৩০০ কোটি টাকার বাজেট রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের বা মোদী সরকারের। উল্লেখ্য, রুপে ডেবিড কার্ড(Rupay) ও ইউপি আই(UPI) মারফত যারা টাকা লেনদেন করবে তাঁদের জন্যই এই মার্চেন্ট ডিসকাউন্ট রেটে টাকা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকবে। তবে এক্ষেত্রে একটা বিষয় মনে রাখতে হবে ২০০০ টাকার লেনদেনের ওপরই ব্যাবসায়ীরা মার্চেন্ট ডিসকাউন্ট রেটে(MDR) টাকা ফেরত পাবেন। এই স্কিমের আওতায় ব্যাঙ্ক গুলোও বিশেষ সুবিধা পাবে। গোটা আর্থিক বছরে যে ব্যাঙ্কের ডেবিড কার্ড বা রুপে কার্ডের(Rupay) ব্যাবহার সবচেয়ে বেশি হবে তার ওপর সরকারের তরফে বিশেষ ইনসেনটিভ(Insentives scheme) পাবে ব্যাঙ্কগুলো। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, চলতি বছর অর্থাৎ ২০২১ সালের ১ এপ্রিল অভধি সরকারের মার্চেন্ট ডিসকাউন্ট রেটে(MDR) টাকা ফেরত দেওয়ার বাজেট রয়েছে ১৩০০ কোটি টাকা(will Invest 1300 Cr)।
মোদী সরকার ডিজিটাল ইন্ডিয়া গড়ার লক্ষ্যে একেবারে অঙ্গীকারবদ্ধ। আর ঠিক সেই কারনেই মার্চেন্ট ডিসকাউন্ট রেটে টাকা ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই টাকা ফেরত দিলে ভারতের প্রতিটি ব্যবসায়ীর মধ্যে ডিজিটাল লেনদেনর প্রভাব আরও প্রকট হবে। প্রসঙ্গত, এ দেশকে ডিজিটালি আরও উন্নতির পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যেই মোদী সরকারের তরফে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের তরফ থেকে মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের গলাতেও শোনা গেল সেই সুর। তিনি জানিয়েছেন, ডিজিটাল লেনদেনের ক্ষেত্রে মার্চেন্ট ডিসকাউন্ট রেটে ব্যবসায়ীদের টাকা ফেরত দেওয়ার ফলে ডিজিটাল ইন্ডিয়াতে একটি নতুন দিগন্তের উন্মোচন হবে। তিনি আরও বলেন, চলতি বছরের নভেম্বর মাসে ভারতে সবচেয়ে বেশি ডিজিটাল লেনদেন হয়েছে। প্রায় ৭.৫৬ লাখ কোটি মূল্যের ৪২৩ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে।
আরও পড়ুন-Split Payments-ক্যালকুলেটারের কাজ করবে ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারের নয়া অ্যাপ স্প্লিট পেমেন্টস, লঞ্চ হবে আমেরিকায়
আরও পড়ুন-Digital India: ৬ বছরের যাত্রাপথ, চড়াই উতরাই পেরিয়ে কৈশরে পা দিতে চলেছে ভারত
২০১৬ সালে যখন কেন্দ্রীয় সরকার ডিমানিটাইজেশনের ঘোষণা করেন তখনই মানুষ ধীারে ধীরে সম্পূর্ণ ডিজিটাল লেনদেনের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। সেই সময় থেকেই নগদ টাকার লেনদেন বেশ খানিকটা কমে আসে। ২০২০ সালে কোভিড অতিমারি পরবর্তী পরিস্থিতিতে নাগরিকেরা স্বাভাবিকভাবেই ক্যাশলেশ লেনদেনের দিকে ঝুঁকে পড়েন। অতিমারির ভয়, সামাজিক দূরত্ববিধির ভয়েই কার্যত অনলাইন লেনদেনের দিকে ঝুঁকে পড়েন ব্যবসায়ীরা। ডিজিটাল পেমেন্ট, ডেবিট কার্ড ও ক্রেডিটের ব্যবহারও বেশ খানিকটা বেড়ে যায়। কিন্তু ব্যবসায়ীদের অনলাইন লেনদেনের পিছনে ছিল নির্দিষ্ট চার্জ কাটার একটা গল্প। সেই জন্যই এই বিষয়টি নিয়ে অনেকের মধ্যে দ্বিধাবোধ ছিল। তবে এবার সেই দ্বিধাবোধ কাটিয়ে তোলার লক্ষ্য নিয়েই কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর ফলে খুশির হাওয়া ব্যবসায়ী মহলে।