শীঘ্রই আসবে ডিজিটাল কারেন্সি,তার আগে জেনে নিন ক্রিপ্টোর সঙ্গে এর পার্থক্য কোথায়

২০২২ সালের কেন্দ্রীয় বাজেটে ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ ঘোষণা করেছিলেন খুব শীঘ্রই ভারতে চালু হবে ডিজিটাল কারেন্সি। ক্রিপ্টোকারেন্সি ও ডিজিটাল কারেন্সির মধ্যে কয়েকটি বিশেষ পার্থক্য রয়েছে। এক নজরে দেখে নিন এই দুইয়ের মধ্যে পার্থক্য কোথায়। 

ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে বিশেষজ্ঞমহলে বিভিন্ন রকমের মতভেদ প্রায়ই দেখা গেছে। তবে ২০২২ সালের কেন্দ্রীয় বাজেটে ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ (Nirmala Sitharaman) ঘোষণা করেছিলেন খুব শীঘ্রই ভারতে চালু হবে ডিজিটাল কারেন্সি (Digital Currency)। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তত্ত্বাবধানে থাকবে এই ডিজিটাল কারেন্সি। ক্রিপ্টো কারেন্সির বদলে চালু হবে এই ডিজিটাল কারেন্সি। তবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (RBI) ক্রিপ্টোকারেন্সি ও ডিজিটাল কারেন্সির (Digital Currency) মধ্যে কয়েকটি বিশেষ পার্থক্য রয়েছে। তাহলে জেনে নেওয়া যাক, ডিজিটাল কারেন্সি ও ক্রিপ্টোকারেন্সির মধ্যে কী কী উল্লেখযোগ্য পার্থক্য রয়েছে। 

১. কারেন্সির একটি ডিজিটাল ফরম্যাট হল ডিজিটাল কারেন্সি। ডিজিটাল ওয়ালেটের মাধ্যমে এটিকে বহন করা সহজ।  সেই সঙ্গে এটিএম থেকেও টাকা তোলার বিশেষ সুবিধা রয়েছে। আর এই গোটা বিষয়টির মূল দায়িত্বে থাকবে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। অন্যদিকে ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেন করা যাবে শুধুমাত্র অনলাইনে। ডিজিটাল ওয়ালেটের মাধ্যমেও ক্রিপ্টো ব্যবহারের কোনও সুবিধা পাওয়া যাবে না। এছাড়াও এটিএম থেকেও টাকা তোলার কোনও সুবন্দোবস্ত নেই ক্রিপ্টোর ক্ষেত্রে। এটি সম্পূর্ণ ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। 

Latest Videos

২. ক্রিপ্টোকরেন্সি ও ডিজিটাল কারেন্সির মধ্যে সবচেয়ে বড় পার্থক্য হল সেন্ট্রালাইজেশন। ডিজিটাল কারেন্সি কন্ট্রোল করে ভারতের রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। কিন্তু ক্রিপ্টোকারেন্সিকে কেউ কন্ট্রোল করে না। ফলস্বরুপ ডিজিটাল কারেন্সির ট্র্যাক করা সম্ভব হলেও ক্রিপ্টোকারেন্সির ক্ষেত্রে সেটা কিন্তু সম্ভব হয় না। 

৩.ডিজিটাল কারেন্সির ক্ষেত্রে সেভাবে এনক্রিপশনের প্রয়োজন হয় না। কিন্তু ক্রিপ্টোকারেন্সির ক্ষেত্রে এই এনক্রিপশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কারন ক্রিপ্টোর ক্ষেত্রে জড়িয়ে রয়েছে ব্লকচেন। তাই ক্রিপ্টোকরেন্সির ক্ষেত্রে এনক্রিপশন করা প্রয়োজন।

৪. ডিজিটাল কারেন্সির ক্ষেত্রে শুধুমাত্র ব্যাঙ্ক ও গ্রাহকদের মধ্যে স্বচ্ছতা বজায় থাকে। কারন এক্ষেত্রে লেনদেন শুধুমাত্র ব্যাঙ্ক ও গ্রাহকদের মধ্যেই হয়ে থাকে। কিন্তু অন্যদিকে ক্রিপ্টোকারেন্সির ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বজায় রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কারন ক্রিপ্টো লেনদেনের গোটা পদ্ধতিই হয়ে থাকে অনলাইনের মাধ্যমে। তাই স্বচ্ছতা বজায় রাখা বাঞ্ছনীয়। 

৫. ডিজিটাল কারেন্সি ক্রিপ্টোকারেন্সির থেকে অনেক বেশি স্টেবল। কারন  ডিজিটাল কারেন্সিকে কন্ট্রোল করা যায়। কিন্তু ক্রিপ্টোকারেন্সিকে মোটেই সেভাবে কন্ট্রোল করা যায় না। তাই ক্রিপ্টোর ক্ষেত্রে স্টেবিলিটিও অনেক কম। 

৬. ডিজিটাল কারেন্সি সম্পূর্ণভাবে আইন সম্মত। কারন ডিজিটাল কারেন্সির ওপর রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রন রয়েছে। বিশ্বের অনেক দেশেই আগে থেকেই ডিজিটাল কারেন্সিকে লিগাল করা হয়েছে। অন্যদিকে ভারতের মতো অনেক দেশেই এখন ক্রিপ্টোকারেন্সিকে আইন সম্মত করার চেষ্টা জারি রয়েছে। 

Share this article
click me!

Latest Videos

গভীর রাতে ধানক্ষেতে ভয়াবহ দৃশ্য! শিউরে উঠবেন আপনিও, আতঙ্কে গোটা Jaynagar, দেখুন | South 24 Parganas
প্রয়াগে ডুব দিয়ে পবিত্র স্নান সারলেন যোগী আদিত্যনাথ | CM Yogi | Prayagraj | Mahakumbh 2025 |
শুভেন্দুর বিরাট ঘোষণা! সোনাচূড়ার আড়াই বিঘা জমিতে হবে বিশাল Ram Mandir | Suvendu Adhikari
বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে এ কী করলো নাবালিকার সঙ্গে! চমকে যাবেন আপনিও, চাঞ্চল্য Nabadwip-এ | Nadia
‘RG Kar-র তথ্য প্রমাণ Mamata Banerjee-র নির্দেশে লোপাট হয়েছে’ বিস্ফোরক Adhir Ranjan Chowdhury