প্রেস ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়া বা পিটিআই -কে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন মানিটারি পলিসি কমিটির সদস্য অসীমা গয়াল। সেখানেই বলেছেন, এই মুহুর্তে ভারতে ক্রিপ্টোকারেন্সির ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা বেশ কঠিন।
ডিজিটাল মুদ্রা বা ক্রিপ্টোকারেন্সি (Crypto) নিয়ে বিভিন্ন মহলে যতই উদ্বেগ বাড়ুক না কেন এদেশ থেকে ক্রিপ্টোকারেন্সি (Cryptocurrency) চিরতরে কোনও দিনই বিলিন হবে না। ক্রিপ্টোতে বিনিয়োগ যতই ঝুঁকিপূর্ণ হোক না কেন, তরুণ প্রজন্মের কিন্তু ক্রিপ্টোর প্রতি একটা অমোঘ আকর্ষণ আছেই। এছাড়াও ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে মোটা টাকা লেনদেনর যে সুবিধা সে কথাও অস্বীকার করার উপায় নেই। সব দিক বিচার বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এই মুহুর্তে ভারতে (India) ক্রিপ্টোকারেন্সির ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা সম্ভব নয়। মানিটারি পলিসি কমিটির (MPC) সদস্য অসীমা গয়াল-ই (Ashima Goyal)ক্রিপ্টোর ওপর কোনও চমর সিদ্ধান্ত নিতে বারণ করেছেন। প্রসঙ্গত, শীতকালীন অধিবেশনে যখন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ ক্রিপ্টোকে দেশীয় মুদ্রার স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করলেন, সেই সঙ্গে শীতকালীন অধিবেশনে ক্রিপ্টো নিয়ে একটি বিল আসারও প্রসঙ্গ উঠেছিল। আর সেই বিল অনুযায়ী গোটা দেশে ক্রিপ্টোর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ারও একটা ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল। তবে আপতত মানিটারি পলিসি কমিটির সদস্য অসীমা গয়ালের বারণ অনুযায়ী হয়তো কোনও রকম চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে না।
ডিজিটাল মুদ্রা বা ক্রিপ্টোকারেন্সির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি না করার পক্ষে শুধু মানিটারি পলিসির কমিটির সদস্য অসীমা গয়ালই নেই, রয়েছেন বিভিন্ন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞ থেকে শুরু করে ক্রিপ্টোতে বিনিয়োগকারীরা। ক্রিপ্টোকে ব্যান করার জন্য গোটা দেশ জুড়ে বিভিন্ন মতামতের নিদর্শন রয়েছে। একই সঙ্গে আবার ডিজিটাল মুদ্রাতে বিনিয়োগ অব্যাহত রাখতে চেয়েছেন এই দেশেরই একাংশ মানুষ। ভারতের অজস্র বিনিয়োগকারীও সরকারের কাছে ক্রিপ্টো লেনদেন অব্যাহত রাখার জন্য আবেদন করেছেন। ক্রিপ্টোর ওপর যাতে কোনও রকম কঠিন বিধি নিষেধ আরোপ করা না হয় সেই জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ করেছেন ভারতীয় ক্রিপ্টো বিনিয়োগকারীরা। ভারতে উল্লেখযোগ্য হারে ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগ হয়ে থাকে। উল্লেখ্য, শুধুমাত্র ভারতেই প্রায় ৩০ শতাংশ মানুষ ক্রিপ্টোকারেন্সির মালিক। আর সেই জন্যই ভারতে ক্রিপ্টোতে বিনিয়োগ বন্ধ হয়ে যাওয়ার বিষয়টিকে গোড়া থেকে নির্মূল করতে সরকারের কাছে বারবার আবেদন করছেন। বলা বাহুল্য, প্রেস ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়া বা পিটিআই -কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে মানিটারি পলিসি কমিটির সদস্য অসীমা গয়াল জানিয়েছেন, সব দিক বিচার বিবেচনা করে দেখলে ক্রিপ্টোকারেন্সির ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা বেশ কঠিন।
আরও পড়ুন-মোটা টাকা কর ফাঁকির অভিযোগ ভারতের হাফ ডজন ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জের বিরুদ্ধে,DGGI-র তদন্তে উঠে এল তথ্য
একই সঙ্গে আবার বলেছেন, ভারতে ক্রিপ্টোর চাহিদা যতই থাকুক না কেন, কোনওভাবেই ক্রিপ্টোকে পেমেন্টের অপশান হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না। ক্রিপ্টোকে ঘিরে দেশে অর্থনৈতক কেলেঙ্কারির নজিরও কিছু কম নয়। সেই জন্যই মানিটারি পলিসি কমিটির সদস্য অসীমা গয়াল বলেছেন, ক্রিপ্টোকারেন্সি কোনওভাবেই ভারতে পেমেন্টের অপশান হয়ে ওঠার যোগ্য নয়। এছাড়াও কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের সুরে সুর মিলিয়ে বলেছেন, ক্রিপ্টোকে কোনওভাবেই দেশীয় মুদ্রা হিসাবেও স্বীকৃতি দেওয়া সম্ভব নয়। তাঁর মতে, ক্রিপ্টোর যথাযথ পরিচালনার জন্য সরকারি রেগুলেশন অত্যাবশ্যক।