করোনা পরিস্থিতির মধ্য গতবছর জারি হয়েছিল লকডাউন। ওই সময় বন্ধ রাখতে হয়েছিল ব্যবসা। আর সেই ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই ফের দেশে আছড়ে পড়ে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। এবার লকডাউন জারি না হলেও দোকানে বিক্রি অনেকটাই কমে গিয়েছে। এর ফলে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে খুচরো ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা। তাই কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আর্থিক সাহায্যের আর্জি জানিয়েছিলেন তাঁরা। তারপরই গতকাল খুচরো ও পাইকারি ব্যবসাকে ক্ষুদ্র, ছোটো ও মাঝারি শিল্পের (এমএসএমই) আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে বলে ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়করি। এর ফলে প্রায় ২.৫ কোটি ব্যবসায়ী উপকৃত হবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। এই সিদ্ধান্তকে সরকারের 'ঐতিহাসিক পদক্ষেপ' বলে দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
আরও পড়ুন- ৯৭ দিন পর দেশে ৫ লক্ষের নিচে নামল অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা, কমেছে করোনার দৈনিক সংক্রমণ
এতদিন এমএসএমই-র আওতাভুক্ত ছিল না খুচরো ও পাইকারি ব্যবসাগুলি। কিন্তু, এখন সেই সংজ্ঞাকে বদলে দিয়ে খুচরো ও পাইকারি ব্যবসাগুলিকেও এর আওতাভুক্ত করার কথা ঘোষণা করেছেন ক্ষুদ্র শিল্পমন্ত্রী। টুইটারে তিনি লেখেন, "এতদিন খুচরো ও পাইকারি ব্যবসাগুলি এমএসএমই-র আওতাভুক্ত ছিল না। কিন্তু, সংশোধিত নির্দেশিকা অনুসারে, খুচরো এবং পাইকারি ব্যবসাগুলিকে এমএসএমই-র আওতাভুক্ত করা হয়েছে। এর ফলে ২.৫ কোটি বিক্রেতা উপকৃত হবেন। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার নির্দেশিকা মেনে খুচরো এবং পাইকারি ব্যবসার উন্নয়ন ঘটবে।"
তিনি আরও লেখেন, "প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে এমএসএমই-কে আরও শক্তিশালী করতে এবং তাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ইঞ্জিন হিসেবে গড়ে তুলতে আমরা বদ্ধপরিকর।"
এই উদ্যোগকে সরকারের 'ঐতিহাসিক পদক্ষেপ' বলে দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী। টুইটারে তিনি লেখেন, "খুচরো ও পাইকারি ব্যবসাকে এমএসএমই-র আওতাভুক্ত করে আমাদের সরকার একটা ঐতিহাসিক পদক্ষেপ করেছে। এর ফলে কোটি কোটি ব্যবসায়ী নিজেদের ব্যবসার উন্নতির জন্য আর্থিক ও অন্য দিক থেকে অনেক লাভবান হবেন।"