
Education for kids: বর্তমান সময়ে বাচ্চাদের পড়াশোনায় মন বসানো অভিভাবকদের কাছে ভীষণ চ্যালেঞ্জিং। বাচ্চাকে পড়াতে বসানোর অভ্যাস করালেও, অনেক সময় দেখা যায়, বারবার পড়া ছেড়ে উঠে যাচ্ছে। বকা-ঝকা দিয়েও, পড়ায় মন বসানো যাচ্ছে না না। উল্টে জেদি হয়ে যাচ্ছে। এইভাবে চলতে থাকলে শিশুর পক্ষে পড়াশোনায় মন দেওয়া এবং ভালো ফল করা কঠিন হয়ে যাবে। কোনও পড়াই মনে রাখতে পারবে না। এই সমস্যা সমাধানে চাই একটু কৌশল ও পরিকল্পনা, যা শিশুকে ধীরে ধীরে পাড়াশোনার প্রতি মনোযোগী করে তুলতে সাহায্য করবে।
একটানা অনেকক্ষণ বসে পড়াশোনা করার দরকার নেই। ২৫ মিনিট পড়ান, তারপর ৫ মিনিটের বিরতি দিন খুদেকে। এতে মনোযোগ ও স্মৃতিশক্তি দুইই বাড়বে বাচ্চার। অনেকক্ষণ একটানা বসে যদি পড়েও, যেমন টানা ১ ঘন্টা পড়লে ২০ মিনিটের বিরতি দিতে হবে বাচ্চাকে। এতে পড়াশোনা চাপ মনে হবে না বাচ্চার কাছে।
একগাদা হোমওয়ার্ক বা অনেকটা পড়া একসঙ্গে পড়ালে বাচ্চার কাছে তা চাপ মনে হবে। তাই অল্প অল্প করে কাজ দিন এবং সেগুলো পূরণ করতে বলুন। যেমন প্রথমে কিছুটা অঙ্ক করতে দিন, শেষ হলে প্রশংসা করুন। তারপর আবার অন্য কোনও বিষয়ে কিছুটা কাজ দিন, সেটা হলে তবে আবার অন্য কিছু। এভাবেই ধীরে ধীরে এগিয়ে যান।
পড়তে বসার সময় পড়ার ঘরের পরিবেশের প্রতি নজর দিন। যে ঘরে অনেক লোকজন রয়েছে, কথাবার্তা বলছে, টিভি চলছে বা কেউ ফোন ঘাঁটছে, এমন ঘরে পড়তে বসাবেন না শিশুকে। বিছানায় নয়, চেয়ার-টেবলে বসান। বই-খাতা গুছিয়ে নিয়ে শান্ত পরিবেশে বাচ্চাকে পড়াতে বসান।
মোবাইল, ল্যাপটপের মতো গ্যাজেটগুলি পড়ার সময় মনোযোগ নষ্ট করে। তাই বাচ্চাকে পড়তে বসালে সামনে মোবাইল অথবা ল্যাপটপ রাখবেন না। তাকে পড়তে দিয়ে আপনিও ফোন ঘাঁটা এড়িয়ে চলুন। বাচ্চার পড়ার নোটস মোবাইলে থাকলে পারলে প্রিন্ট আউট বের করে নিন বা অন্য কোথাও লিখে রাখুন।
আপনার খুদেও কি পরীক্ষার আগেরদিন রাত জেগে পড়তে থাকে? সারা বছর নির্দিষ্ট রুটিন মেনে পড়তে বসলে পরীক্ষার আগের দু'দিন রাত জেগে পড়ার প্রয়োজন পড়ে না। তাই নিয়ম করে সকালে এবং সন্ধ্যায় কখন পড়তে বসবে এবং কতক্ষণ পড়বে, তার একটা রুটিন তৈরি করে বাচ্চাকে দিন। রোজকার এমন একটা অভ্যাস তৈরি করা ভীষণ জরুরি।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।