আমাদের শরীর ও মন কি এক? শ্রী অরবিন্দের আদর্শ ও ভারতীয় দর্শন কী বলছে?
Sri Aurobindo Institute of Education: সল্টলেকের শ্রী অরবিন্দ ইনস্টিটিউট অফ এডুকেশন বাংলার অন্যতম উল্লেখযোগ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বহু ছাত্র-ছাত্রী সমাজের বিভিন্ন স্তরে সুপ্রতিষ্ঠিত।

শ্রী অরবিন্দর জন্মদিবসের অনুষ্ঠানে প্রাচীন ভারতীয় দর্শন ও আদর্শের কথা স্মরণ
শ্রী অরবিন্দর আদর্শ
১৫ অগাস্ট শ্রী অরবিন্দর জন্মদিবস উপলক্ষে সল্টলেকের শ্রী অরবিন্দ ইনস্টিটিউট অফ এডুকেশন বিশেষ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছিল। এদিন এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠা দিবস। এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অধ্যাপক অমিত কুমার ভট্টাচার্য। তিনি প্রাচীন ভারতীয় দর্শন ও শ্রী অরবিন্দর আদর্শের কথা স্মরণ করিয়ে দিলেন। অধ্যাপক জানালেন, 'আমাদের শরীর ও মন এক নয়। এই সরল সত্য আমাদের প্রাচীন দর্শনে উল্লেখ করা হয়েছে। শ্রী অরবিন্দ ভারতীয় দর্শন ও আদর্শ মেনেই চলতেন।'
KNOW
শিক্ষা জোর করে চাপিয়ে দেওয়া হয় না, আত্তীকরণ করানো হয়, জানালেন সম্পাদক
শিক্ষা আত্তীকরণ
শ্রী অরবিন্দ ইনস্টিটিউট অফ এডুকেশনের সম্পাদক অশোক শীল জানান, এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ুয়াদের উপর জোর করে কিছু চাপিয়ে দেওয়া হয় না। পড়ুয়ারা যাতে শিক্ষা আত্তীকরণ করতে পারে, সেই উদ্যোগ নেওয়া হয়। শিক্ষক-শিক্ষিকারা সবসময় পড়াশোনার পাশাপাশি পড়ুয়াদের সার্বিক বিকাশের উপর জোর দেন। এই কারণেই এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পড়ুয়ারা সমাজে সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছেন।
ইসরোর বিজ্ঞানী সৌম্যজিৎ চট্টোপাধ্যায় এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রাক্তন ছাত্র
কৃতী পড়ুয়া
চন্দ্রযানের সঙ্গে যুক্ত ইসরোর বিজ্ঞানী সৌম্যজিৎ চট্টোপাধ্যায় শ্রী অরবিন্দ ইনস্টিটিউট অফ এডুকেশনের প্রাক্তন ছাত্র। এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আরও অনেক পড়ুয়াই পরবর্তীকালে সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাফল্য পেয়েছেন। ভবিষ্যতে এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশায় এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালক ও শিক্ষক-শিক্ষিকারা।
১৪ ও ১৫ অগাস্ট শ্রী অরবিন্দ ইনস্টিটিউট অফ এডুকেশনের বার্ষিক অনুষ্ঠান
স্কুলের বার্ষিক অনুষ্ঠান
১৯৮৩ সালের ১৫ অগাস্ট প্রতিষ্ঠিত হয় শ্রী অরবিন্দ ইনস্টিটিউট অফ এডুকেশন। তারপর থেকে প্রতি বছর ১৪ অগাস্ট ও ১৫ অগাস্ট বার্ষিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। এবারও ব্যতিক্রম হয়নি। স্কুলের বার্ষিক অনুষ্ঠান ঘিরে পড়ুয়াদের উৎসাহ-উদ্দীপনা ছিল। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দেয় পড়ুয়ারা। নাচ-গান-আবৃত্তি-নাটকের মাধ্যমে অনুষ্ঠান অন্য মাত্রা পায়।
পড়াশোনার পাশাপাশি এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাংস্কৃতিক চর্চার উপরেও জোর দেওয়া হয়
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
শ্রী অরবিন্দ ইনস্টিটিউট অফ এডুকেশনের বার্ষিক অনুষ্ঠানে পড়ুয়াদের বিভিন্ন ভাষার নাটক, গান, আবৃত্তি, নাচের আয়োজন করা হয়েছিল। পড়াশোনার পাশাপাশি পড়ুয়ারা যে নিয়মিত সংস্কৃতির চর্চা করে, তা এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বোঝা গিয়েছে। ভবিষ্যতে অনেক পড়ুয়াই পেশাদার শিল্পী হিসেবে কৃতিত্বের পরিচয় দিতে পারে বলে আশায় শিক্ষক-শিক্ষিকারা।
পড়ুয়াদের পাশাপাশি শিক্ষক-শিক্ষিকারাও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দেন
পড়ুয়াদের উৎসাহ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের
শ্রী অরবিন্দ ইনস্টিটিউট অফ এডুকেশনের বার্ষিক অনুষ্ঠানে পড়ুয়াদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে উৎসাহ দেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। তাঁরা নাটক-সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সক্রিয়ভাবে যোগ দেন। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উৎসাহে পড়ুয়ারা নিজেদের সেরাটা দেয়। তারা ভবিষ্যতেও একইভাবে এই ধরনের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে চায়।
