অঞ্জলি বিশ্বকর্মা জানিয়েছেন, ২০১৮ সালে ইউপিএসসি পরীক্ষার বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। তারপর থেকে লক্ষ্যে অবিচল থেকে পরীক্ষার প্রস্তুতি শুরু করে দেন।
অঞ্জলি বিশ্বকর্মা (Anjali Viswakarme), ইউপিএসসি টপারদের (UPSC Topper) মধ্যে একজন। ২০২০ সালের ইউপিএসসি পরীক্ষায় তিনি ১৫৮তম স্থান দখল করেছেন। কিন্তু এই যাত্রাপথ মোটেও সহজ ছিল না। অঞ্জলির কথায় তাঁর সাফল্যের চাবি কাঠি হল কঠোর পরিশ্রম আর অধ্যাবসায়। এশিয়ানেট নিউজের প্রতিনিধিদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানিয়েছেন, কী ভাবে প্রস্তুতি নিয়েছেন দেশের সেরা চারকির পরীক্ষায় বসার জন্য। সেখানেই তিনি জানিয়েছেন মোটা টাকার চারকি ছেড়ে কঠোর পরিশ্রম করেছিলেন শুধুমাত্র দেশের ও দেশবাসীর সেবা করার জন্য।
অঞ্জলি বিশ্বকর্মা জানিয়েছেন, ২০১৮ সালে ইউপিএসসি পরীক্ষার বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। তারপর থেকে লক্ষ্যে অবিচল থেকে পরীক্ষার প্রস্তুতি শুরু করে দেন। প্রথমবার পরীক্ষায় বসে সাফল্যের মুখ দেখেননি অঞ্জলি। কিন্তু তাইবলে ভেঙে পড়েননি তিনি। দ্বিতীয়বারেই বাজিমাৎ করেছিলেন অঞ্জলি। তিনি সফল হন। তারপরই ইউপিএসসি মেইন পরীক্ষার প্রস্তুতি। সেই সময় দিনে ১৫-১৬ ঘণ্টা পড়াশুনা করেছিলেন। সম্পূ্র্ণ দূরে ছিলেন সোশ্যাল মিডিয়া থেকে। অঞ্জলি জানিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায় থেকে তিনি টানা তিন বছর দূরে ছিলেন।
অঞ্জলির কথায় 'সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারই বন্ধ করে দিয়েছিলাম আমি।'
Ladakh Standoff: চিনা সেনার মোকাবিলায় লাদাখে K9-Vajra, আলোচনাতেই ভরসা সেনা প্রধানের
২০ লক্ষ টাকার প্যাকেজের চাকরির দিকে ফিরেও তাকাননি,জানুন ইউপিএসসি পরীক্ষার এই কৃতীর কথা
অঞ্জলি জানিয়েছেন তিনি যখন ক্লাস ১২এর ছাত্রী ছিলেন তখনও ইন্টারনেটের তেমন প্রভাব ছিল না এই দেশে। তাই তখন পড়াশুনা যা যে কোনও একটি কাজে মনোসংযোগ করা অনেকটাই সহজ ছিল। কিন্তু ইন্টারনেট এই মনোসংযোগের কাছে যথেষ্টই ব্যাঘাত ঘটায়। সেই কারণেই তিনি সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার বন্ধ করে দেন। পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য কমিয়ে দিয়েছিলেন ইন্টারনেট নির্ভরতা। তিনি পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য সবকিছু থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে মনোনিবেশ করেছিলেন পরীক্ষার প্রস্তুতিতে।
অঞ্জলি জানিয়েছেন, ইউপিএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি সম্পূর্ণ ব্যক্তিকেন্দ্রিক। কারণ কখন কী ভাবে কী করতে হবে তার সিদ্ধান্ত নিজেকেই নিতে হবে। কোচিং সেন্টারগুলিতে প্রচুর মানুষের ভিড় থাকে। সেখানে মেধাবী পড়ুয়ারাও যায়। কিন্তু আসল প্রস্তুতি নিজেকেই নিতে হয়। কোচিং সেন্টারগুলি থেকে মানুষ শিখতে পারে। কিন্তু তা প্রয়োগের রাস্তা নিজেকেই খুঁজে নিতে হবে। তিনি আরও বলেছেন খুব কম পরীক্ষার্থী এক বা দুবার চেষ্টা করেই হাল ছেড়ে দেয়। কিন্তু চেষ্টা করলে অসাফল্যের পরই যে সাফল্য আসে সেটাও জানিয়েছেন তিনি।
অঞ্জলি আইআইটি ছাত্রী ছিলেন। সেখান থেকেই বিটেক ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন তিনি। বেসরকারি কোম্পানিতে মোটা টাকার চাকরিও পেয়েছিল। সেই চারকিতে যোগ দিয়ে বিদেশেও পাড়ী দিয়েছিলেন অঞ্জলি। কিন্তু দেশের টান আর দেশের মানুষের জন্য কিছু করার উদ্দেশ্য নিয়েই তিনি বেসরকারি সংস্থার চাকরি ছেড়ে ইউপিএসসি পরীক্ষা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।