সংক্ষিপ্ত
সেনা প্রধান জানিয়েছেন এই মুহূর্তে ভারত সবরকম পরিস্থিতি মোকাবিলায় তৈরি রয়েছে। গোটা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে। প্রতিমুহূর্তেই পূর্ব লাদাখ সেক্টরের পরিস্থিতি বিচার করা হচ্ছে।
লাদাখের প্রকৃত সীমারেখা (Ladakh LAC) এলাকায় আবারও উত্তেজেন বাড়ছে। গোয়েন্দা রিপোর্ট অনুযায়ী প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা এলাকায় সেনা সংখ্যা বাড়াচ্ছে চিন (China) । এই পরিস্থিতি নিয়ে আগামী সপ্তাহেই লাদাখের পরিস্থিতি নিয়ে ১৩তম বৈঠক হতে পারে বলেও সূত্রের খবর। ভারতীয় সেনা প্রধান এমএম নারাভানে ( Indian Army Chief MM Naravane) শনিবার সকালে বলেছেন, 'চিনের সৈন্যসংখ্যা মোতায়েন বৃদ্ধি পেয়েছে। এটা রীতিমত উদ্বেগের। গত ৬ মাস ধরে লাদাখের পরিস্থিতি কিছুটা হলেও স্বাভাবিক ছিল।' সেনা প্রধান আরও বলেছেন পিপিলস লিবারেশন আর্মির এই পদক্ষেপের পাল্টা পদক্ষেপ করেছে ভারত। পূর্ব লাদাখ সেক্টরে উল্লেখযোগ্যোভাবে সেনা মোতায়েন বাড়িয়েছে ভারত, সংবাদ সংস্থা এনএনআইকে তেমনই জানিয়েছেন সেনা প্রধান।
সেনা প্রধান জানিয়েছেন এই মুহূর্তে ভারত সবরকম পরিস্থিতি মোকাবিলায় তৈরি রয়েছে। গোটা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে। প্রতিমুহূর্তেই পূর্ব লাদাখ সেক্টরের পরিস্থিতি বিচার করা হচ্ছে। একাধিক ইনপুটের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হচ্ছে রোডম্যাপ। তৈমনই জানিয়েছেন সেনা প্রধান। তবে ভারত যে এখনও পর্যন্ত আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইছে তাও জানিয়েছেন সেনা প্রধান। নরাভানে বলেছেন প্রতিটি জায়গার সমস্য়াই সমাধান করা হবে। একই সঙ্গে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহেই ভারত চিন ১৩তম সামরিক বৈঠক হওয়ার কথা। সেই বৈঠকেই সেনা প্রত্যাহার নিয়ে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। পূর্ব লাদাখ সেক্টর এলাকায় চিনা সৈনা মোতায়েন বৃদ্ধির পর থেকেই গোটা বিষয়টি নিয়ে রীতিমত তৎপর হয়ে পড়ে ভারতীয় সেনা বাহিনী।
কী মতলব চিনের, গোয়েন্দা রিপোর্টে দাবি LAC-তে ৫৫টি ঘোড় নিয়ে এসেছিল লাল ফৌজ
Modi in Power: ২০ বছর ক্ষমতায় থাকার পরেও রামকৃষ্ণ ও বিবেকানন্দই তাঁর আদর্শ, বললেন নরেন্দ্র মোদী
ভারতীয় সেনা বাহিনীর এক মুখপাত্র জানিয়েছেন ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি ফরওয়ার্ড এলাকা পরিদর্শন করেন সেনা প্রধান। বর্তমান নিরাপত্তা পরিস্থিতি সম্পর্কেই অবহিত হয়েছেন তিনি। শুক্রবারই তিনি গোটা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছেন। সেনা বাহিনীর পক্ষ থেকে জানান হয়েছে দায়িত্ব প্রাপ্ত সেনা জওয়ানদের সঙ্গেও একপ্রস্থ আলোচনা করেছেন সেনা প্রধান।
অন্যদিকে চিনা সেনার অগ্রাসনের পরই লাদাখ সেক্টরে ফরওয়ার্ড এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে কে৯-বজ্রা (K9-Vajra)। এটি স্বচালিত হাউইটডার রেজিমেন্ট। এই স্বচালিত বন্দুকটি প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে শত্রুপক্ষের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে পারে। সেনা প্রধান সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে বলেছেন এই বন্দুকগুলি অতি উচ্চ এলাকাতেও কাজ করতে পারে। ভারতীয় সেনা বাহিনীর এই প্রথম লাদাখ সেক্টরে এই শক্তিশালী সমরাস্ত্র মোতায়ন করল। অন্যদিকে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন চিন পূর্ব লাদাখ সংক্টর লংলগ্ন এলাকায় প্রচুর পরিমানে সেনা মোতায়েন করেছে। বিপুল যুদ্ধ সরঞ্জামও বয়ে নিয়ে এসেছে।
চিনের থেকে সাবধান, গোটা বিশ্বেই ঋণের ফাঁদ পেতে রেখেছে বেজিং
গত বছর প্রথম গালওয়ান পরবর্তী সময়ে প্যাংগং হ্রদ এলাকায় ভারত ও চিনা সেনারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। তারপর থেকে ভারত লাদাখ সেক্টরের সেনা মোতায়েন বাড়়িয়ে ছিল। গত বছর শীতকালেও চিনা সেনার অগ্রাসন রুখতে মোতায়েন করা হয়েছিল অতিরিক্ত সেন জওয়ান। তৈরি রাখা হয়েছিল ভারতীয় বিমান বাহিনীকেও। মুম্বইয়ের সংস্থা ল্যারসেন টুব্রো দক্ষিণ কোরিয়ার একটি সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এই সময়যান তৈরি করেছে।