তাপস দাস, প্রতিনিধি,
শহিদের মা, কথাটা একসময়ে খুব বইয়ের কথা হয়ে যাচ্ছিল। ঠিক তেমন একটা সময়ে বাংলায় ঘটল নন্দীগ্রাম, চলল পুলিশের গুলি। আর তার পর থেকে ফিরোজা বিবি হয়ে উঠলেন শহিদের মা। এই তাঁর পরিচয়। যা তাঁর ব্যক্তিগত শোকের পরিচয়কে ছাপিয়ে দিল রাজনৈতিক এক পরিচয়ও।
ফিরোজা ২০১১ সাল থেকে তৃণমূলে। বাম পুলিশের গুলিতে যাঁর ছেলে মারা যান, তিনি যদি সমাজ-রাজনীতিতে থাকেন, তাহলে তৃণমূল কংগ্রেসই তাঁর স্বাভাবিক মিত্র হয়ে উঠবেন, তাতে অস্বাভাবিক কিছু নেই। ফলে ২০১১ সালে তিনিই তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে ভোটে লড়েন এবং হারিয়ে দেন সিপিআইয়ের মহম্মদ ইলিয়াসকে। ২০১৬ সালে তিনি নন্দীগ্রাম আসন থেকে দাঁড়াননি। তার বদলে যিনি দাঁড়িয়েছিলেন, তিনি অবশ্য ২০২১-এও নন্দীগ্রামে প্রার্থী হয়েছেন, তবে অন্য দলে। হ্যাঁ, শুভেন্দু অধিকারী। ২০১৬ সালে নন্দীগ্রাম থেকে ফিরোজা ভোটে দাঁড়াননি বটে, তবে ভোটে আদৌ দাঁড়াননি এমন নয়। কেন্দ্র বদলে তাঁকে দেওয়া হয়েছিল পাঁশকুড়া পশ্চিম। শহিদের মা নিরাশ করেননি। যদিও সময় ও স্থান বদল ঘটেছিল, তা সত্ত্বেও ফের জেতেন ফিরোজা। এবারেও তিনি বধ্যভূমি রচনা করেন সিপিআইয়ের। হারান চিত্তরঞ্জন দাস ঠাকুরকে।
ভোটের বাংলায় একটা বড় প্রশ্ন , মমতা কেন ‘আয়ুষ্মান ভারত’ চালু করেননি রাজ্যে ...
শুভেন্দু তাঁকে মা বলতেন, শুভেন্দুকে তিনি বলতেন ছেলে। কিন্তু শুভেন্দু যখন বিজেপির হয়ে নন্দীগ্রামে দাঁড়াবেন, এ কথা স্থির হয়ে গিয়েছে, তখনই তোপ দেগেছিলেন ফিরোজা বিবি। বলেছিলেন, তিনি শুভেন্দুর বিরুদ্ধে দাঁড়াতে প্রস্তুত। তবে নন্দীগ্রামে স্বয়ং মমতা লড়াইয়ে। আর ফিরোজা, তাঁর গত বিধানসভা কেন্দ্রে। এক দশক পর কি শহিদ জননীর জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েছে, নাকি তিনি এক অমোঘ সত্যের মতই বিচরণ করে চলেছেন, সে কথা ২ মে জানা যাবে।