তাপস দাস, প্রতিনিধি, ২০১৭ সালের গোড়ায় দার্জিলিংয়ে অশান্তির জেরে হরিয়ানার গুরুগ্রাম থেকে তিনজন গ্রেফতার হন সেপ্টেম্বর মাসে। তার কিছুদিন আগেই এই তিনজন ও আরও দুই নেতা তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের কাছে ডেপুটেশন দিতে গিয়েছিলেন। গুরুগ্রাম থেকে যে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়, তাঁদের অন্যতম পি টি ওলা। তিনি একদা জিটিএ-র সভাসদ ছিলেন। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের সিআইডি এই তিনজনকে গ্রেফতার করেছিল। তারপর রঙ্গিত ও তিস্তা দিয়ে অনেক জল গড়িয়েছে। সেই পিটি ওলা এবার দার্জিলিং বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থিত গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা প্রার্থী। বিমল গুরুং এবারের ভোটে তৃণমূল পক্ষে। তবে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা বিভক্ত হয়ে গিয়েছে। বিমল গুরুং ও বিনয় তামাং আলাদা হয়েছেন। ওলা বিমল শিবিরের প্রতিনিধি। বিনয় তামাং শিবির আলাদা করে এই ভোটে প্রার্থী দিয়েছে।
২০১১ সালের ভোটে, এখান থেকে জিতেছিলেন ত্রিলোক দেওয়ান। সে তো এমনি জেতা নয়, যাকে বলে মহাজয়। তিনি পেয়েছিলেন ১ লক্ষ ২০ হাজার ৫৩২ ভোট। আর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জিএনএলএফের বিম সুব্বা মোট ১৪ হাজার ভোটও পাননি। ২০১৬ সালের ভোটে জিতেছিলেন মোর্চার অমর সিং রাই। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূলের সারদা রাই সুব্বা হেরেছিলেন ৫০ হাজারের বেশি ভোটে। এই গোটা সময়কাল জুড়ে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা ছিল বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ-র শরিক।
নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়ে দুটি বার্তা, ভোটের মরশুমে বাংলার মত জয় করতে মরিয়া প্রধানমন্ত্রী ...
গত পাঁচ বছরে দার্জিলিংয়ে প্রভূত কাণ্ড ঘটেছে। খুন হয়েছেন পুলিশকর্মী। মমতা ও তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যদের কার্যত পালিয়ে আসতে হয়েছে পাহাড় ছেড়ে। বিমল গুরুংয়ের বিরুদ্ধে গোটা রাজ্যের পুলিশ ঝাঁপিয়ে পড়েছে, তিনি আত্মগোপন করেছেন।
নতুন বছরে করোনাভাইরাসের করাল চোখ, দ্বিতীয় তরঙ্গে আমেরিকার থেকেও দ্রুতগতিতে ছড়াচ্ছে সংক্রমণ ...
গত বছরের অক্টোবর মাসে গুরুং ফের মঞ্চে অবতীর্ণ হন। আত্মগোপন পর্ব হঠাৎ ভঙ্গ করে কলকাতায় এসে তিনি ঘোষণা করেন, এনডিএ-র সঙ্গত্যাগ করছেন তিনি, এবার সমর্থন তৃণমূল কংগ্রেসে। এ বছরের গোড়ার দিকে গুরুংয়ের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলা প্রত্যাহার করতে শুরু করে তৃণমূল সরকার। শুধু গুরুং নয়, বিনয় তামাং গোষ্ঠীর নেতাদের বিরুদ্ধেও মামলা প্রত্যাহার করা হয়। দুই গোষ্ঠীকে খুশি রাখতে পাহাড়ের তিনটি আসনই গোর্খা জনমুক্তি মোর্চাকে ছেড়ে দেন মমতা। কিন্তু পাহাড়ের রাজনীতিবিদরা বিভক্ত থাকাই পছন্দ করেছেন। ফলে এখানে ত্রিপাক্ষিক লড়াইয়ে বিজেপির সুবিধা পাবার একটা সম্ভাবনা রয়েই যাচ্ছে।
বড় চমক, ভোটে না দাঁড়াতে চাওয়া চিরঞ্জিৎ কি পরপর তিনবার ম্যাজিক দেখাবেন বারাসাতে ...
এবার দার্জিলিং বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন নীরজ জিম্বা। ২০১৯ সালে দার্জিলিং বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে বিজেপি এই আসন হাতিয়ে নিয়েছিল মোর্চার কাছ থেকে। সে ভোটে অবশ্য মোর্চার বিনয় তামাং গোষ্ঠী প্রার্থী দিয়েছিল। বিনয় তামাং নিজে দাঁড়িয়ে ৪০ হাজারের বেশি ভোটে হেরেছিলেন। এবার এই কেন্দ্রে সিপিএমের প্রার্থী গৌতম রাই রাজ। ভোট হবে পঞ্চম দফায়, ১৭ এপ্রিল।