কোচবিহারে ১৪৪ ধারা ভাঙার চেষ্টা করার অভিযোগে কোচবিহারে গ্রেফতার হলেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু। একই সঙ্গে গ্রেফতার করা হলো বিজেপি-র জেলা সভানেত্রী সহ অন্যান্য নেতাদের। কোচবিহারের শীতলকুচিতে বিজেপি-র অভিনন্দন যাত্রায় যোগ দিতে যাচ্ছিলেন সায়ন্তন- সহ জেলা বিজেপি নেতৃত্ব।
কোচবিহারের শীতলকুচিতে এ দিন নাগরিকত্ব আইনের সমর্থনে বিজেপি-র অভিনন্দন যাত্রা ছিল। তার মধ্যেই এ দিন শীতলকুচির খোলিসামারির সোনারচালুন গ্রামে তৃণমূলের বিরুদ্ধে চার- পাঁচটি বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে। পাশাপাশি তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে এলাকায় বোমাবাজি করার অভিযোগ উঠেছে। বিজেপি সমর্থকদের দোকানে লুঠপাট চালানো হয়েছে বলেও অভিযোগ। শীতলকুচি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এই উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই সায়ন্তন বসু- সহ অন্যান্য নেতারা শীতলকুচির দিকে যেতে গেলে সীতাই মোড়ের কাছে তাঁদের আটকায় পুলিশ। বিজেপি নেতাদের জানানো হয়, শীতলকুচিতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। ফলে সেখানে তাঁরা যেতে পারবেন না। বিজেপি-র সভারও অনুমতি নেই বলে দাবি করে পুলিশ।
আরও পড়ুন- 'গরিবের আশীর্বাদে শান্তিতে ঘুমোই', কাটমানি- সিন্ডিকেট খোঁচা মোদীর
আরও পড়ুন- মোদীর বেলুড়-ভাষণ নিয়ে প্রবল বিতর্ক নেটদুনিয়ায়, প্রাক্তনীদের গণস্বাক্ষর
পাল্টা পুলিশের কাছে ১৪৪ ধারা জারি করার লিখিত আদেশ দেখতে চান সায়ন্তন বসু। বিজেপি-র জেলা সভানেত্রী মালতি আভা রায় দাবি করেন, পুলিশের অনুমতি নিয়েই সভা হচ্ছে। এই নিয়ে দু' পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়। শীতলকুচি গিয়ে সভা করার সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন বিজেপি নেতারা। শেষ পর্যন্ত সায়ন্তন সহ বিজেপি নেতাদের গ্রেফতার করে পুলিশ।
ধৃত বিজেপি নেতাদের মাথাভাঙা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকেই মোবাইল ফোনে জনসভার উদ্দেশ্যে ভাষণ দেওয়ার কথা জানান সায়ন্তনবাবু।
ক্ষুব্ধ বিজেপি নেতা বলেন, 'শীতলকুচিতে আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি রয়েছে। অভিনন্দন যাত্রার সঙ্গে বিবেকানন্দের জন্মদিন পালন হবে। পুলিশ হঠাৎ বলছে সেখানে ১৪৪ ধারা জারি হয়েছে। কিন্তু অন্যান্য দল তো সেখানে মিছিল করছে। ১৪৪ ধারা কি ইচ্ছে মতো করা যায়? আমি লিখিত নির্দেশ দেখতে চেয়েছি। এর বিরুদ্ধে আমরা আদালতে যাব। ওখানে কী এমন ঘটনা ঘটেছে যে ১৪৪ ধারা জারি করতে হবে! ওটা কী পাকিস্তান না বাংলাদেশ?'