দলের সাংগঠনিক পদ থেকে পত্যাগ করেছে, তা এক সপ্তাহে হতে চলল। এবার প্রকাশ্য়ে এলেন কোচবিহারের বিক্ষুদ্ধ তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামী। বিজেপিতে যোগ দেবেন? তা নিয়ে স্পষ্ট করে কিন্তু কিছু বললেন না তিনি। তবে বিধায়কের ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য, একটি রাজনৈতিক দলের কর্মী হয়ে অন্য রাজনৈতিক দলে কারও সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করা অন্যায় নয়। এমনকী, অমিত শাহের তরফে ডাক পেলেন সাড়া দেবেন, দেখা করবেন।
আরও পড়ুন: জেলায় জেলায় পৌঁছে গেল নির্দেশ, লোকাল ট্রেন চালুর আগে জেলাশাসকদের কী বলল নবান্ন
ঘটনাটি ঠিক কী? বিধানসভা ভোটের আগে জেলায় জেলায় দলের নয়া কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া প্রায় শেষ করে ফেলেছে তৃণমূলের রাজ্য় নেতৃত্ব। ব্যতিক্রম নয় কোচবিহারও। কিন্তু ঘটনা হল, নয়া কমিটি ঘোষণার পর থেকে তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক মিহির গোস্বামী। দলে সাংগঠনিক পদ থেকে পদত্যাগ করাই শুধু নয়, কার্যত রাতারাতি নিজের কার্যালয়ের সামনে থেকে দলের পোস্টার-ব্য়ানার সরিয়ে ফেলেছেন তিনি। এমনকী, কার্যালয়ের ভিতরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছবির বদলে শোভা পাচ্ছে স্বামী বিবেকানন্দ, নেতাজি ও রবীন্দ্রনাথের মতো মনীষীদের ছবি। দল ও টিম পিকে-এর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। এসবের মাঝে আবার তৃণমূল বিধায়কের সঙ্গে দেখা করেছেন কোচবিহারের বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক।
আরও পড়ুন: করোনাকালে জনসংযোগের নয়া কৌশল, মাঠে নেমে ধান কাটলেন বিজেপির জেলা সভাপতি
বিধানসভা ভোটে কোচবিহারে তৃণমূলের অন্দরে কি নতুন কিছু ঘটতে চলেছে? সোমবার সাংবাদিক সম্মেলন করলেন বিধায়ক মিহির গোস্বামী। কিন্তু খোলসা করলেন না কিছুই। সমালোচকদের একহাত নিয়ে বললেন, 'এখনও পর্যন্ত দলত্যাগের কোনও পরিকল্পনা নেই। দল ও রাজনীতির সঙ্গে সম্পর্ক না থাকলেও অধিকারী পরিবারের সঙ্গে থাকবে। ওদের সঙ্গে আমার চল্লিশ বছরের সম্পর্ক। শুভেন্দু অধিকারীর বাবা আমার পিতৃসম।' উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন ধরে শুভেন্দু অধিকারীর বিজেপিতে যোগ দিয়েও জোর জল্পনা চলছে রাজনৈতিক মহলে। লকডাউনের আগে থেকে দলের কোনও কর্মসূচিতে দেখা যায়নি শুভেন্দু। উল্টে দলের ব্যানার ছাড়া বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন তিনি।