দিল্লিতে কোভিড ১৯ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ছয়শো ছাড়িয়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আরও কোমর বেঁধে নামল দেশের রাজধানী। মারণ ভাইরাস বেশি ছড়িয়েছে দিল্লির এমন ২০টি জায়গা পুরোপুরি সিল করে দিল মুখ্যমন্ত্রী অকবিন্দ কেজরিওয়ালের সরকার।
নিজামুদ্দিনের মারকাজ মসজিদ আর সংলগ্ন বস্তি ছাড়াও এই তালিকায় রয়েছে দ্বারকার শাহজানাবাদ সোসাইটি, ময়ূর বিহারের কিছু অংশ, পতপরগঞ্জ, মালব্য গার্ডেন, সংগম বিহার, সীমাপুরী, বসুন্ধরা এনক্লেভ এবং দিলশাদ গার্ডেন।
এ ছাড়াও করোনার হটস্পটের তালিকায় রয়েছে কনট প্লেসের কাছে অবস্থিত বাঙালি বাজার। এই বাজার এলাকায় তিন জন বাসিন্দার করোনাভাইরাসের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। সিল করার ফলে এই এলাকাগুলিতে বাইরের কেউ আসতে পারবেন না আর কেউ বেরোতেও পারবেন না বলে সাফ নির্দেশ দিল্লি সরকারের।
পাশাপাশি দিল্লিবাসীর জন্য মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করেছে আম আদমি পার্টির সরকার। মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল জানিয়ে দিয়েছেন, বাড়ির বাইরে বেরোলে দিল্লিবাসীদের মাস্ক পরতেই হবে। বুধবার থেকেই এই নির্দেশ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
লকডাউনে বাড়িতে বসেই বাড়িয়ে ফেলুন প্রতিরোধ ক্ষমতা, করোনা যুদ্ধে নামার টিপস দিল খোদ সরকার
আমেরিকায় রক্ষে পাচ্ছেন না বসবাসরত ভারতীয়রাও, দেশটিতে মৃত্যু মিছিল ৬০ হাজার ছাড়ানোর আশঙ্কা
এক বছরের জন্য বেতনে কোপ মন্ত্রীদের, করোনা মোকাবিলায় কড়া সিদ্ধান্ত যোগী আদিত্যনাথের
এদিকে দিল্লির পাশাপাশি দেশের বাণিজ্য রাজধানীতেও করোনা সংক্রমণ এড়াতে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এছাড়া চণ্ডীগড়, নাগাল্যান্ড এবং ওড়িশা প্রশাসনও মাস্ক পরা নিয়ে অনুরূপ নির্দেশিকা জারি করেছে।
করোনা সংক্রমণ আটকাতে দিল্লির সঙ্গে বুধবার মধ্যরাত থেকে নয়ডার ২২টি এবং গাজিয়াবাদের ১৩টি করোনা হটস্পট সিল করেছে প্রশসান। আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত হটস্পট এলাকাগুলি সিল করা থাকবে বলেই জানা যাচ্ছে।