ইউটিউবে রান্না শিখিয়েই বাজিমাত কৃষক পরিবারের
মুখ্যমন্ত্রীর কোভিড ত্রাণ তহবিলে দিল ১০ লক্ষ টাকা
তাদের সাবস্ক্রাইবার এখন ১০ কোটিরও বেশি
তামিলে তাদের চ্যানেলই এক নম্বর ইউটিউব চ্যানেল
তামিলনাড়ুর এক গ্রামের কৃষক পরিবার। ২০১৮ সালে ইউটিউবে রান্নার ভিডিও পোস্ট করা শুরু করেছিল তারা। আর এখন ১০ কোটির বেশি সাবস্ক্রাইবার নিয়ে তাদের সেই ইউটিউব চ্যানেলই তামিলনাড়ুর এক নম্বর ইউটিউব চ্যানেল হয়ে উঠেছে। সেই ভিলেজ কুকিং চ্যানেল বা ভিসিসি (VCC) গত ৪ জুলাই তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রীর তৈরি কোভিড-১৯ ত্রাণ তহবিলে ১০ লক্ষ টাকা অনুদান দিয়েছে।
তামিলনাড়ুর পুডুককোটাইয়ের এক কৃষক পরিবারের সন্তান চিন্না বীরমঙ্গলম এই ইউটিউড চ্যানেলটি শুরু করেছিলেন। পরে তার চার নাতি - মুরুগেসন, তামিলসেলভন, আয়ানার, মুথুমনিক্কম এবং সুব্রহ্মণিয়ান এবং এক প্রাক্তন পেশাদার ক্যাটারার পেরিয়্যাথাম্বি তাঁর সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন। সুব্রহ্মণিয়ণের বাণিজ্যে এম ফিল রয়েছে এবং মুথুমনিক্কম ক্যাটারিং নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। কিন্তু, তা সত্ত্বেও তাঁরা শুধুমাত্র ঠাকুর্দার নির্দেশ মেনেই রান্না করেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা। আর তাঁদের ঠাকুর্দা রান্নাগুলি শিখেছিলেন তাঁর মায়ের কাছ থেকে।
লকডাউনের আগ পর্যন্ত প্রতি সপ্তাহে তারা চারটি করে পর্ব পোস্ট করত তাদের ইউটিউব চ্যানেলে। যার একেকটিতে একেকটি খাবার রান্না করা শেখানো হত। মহামারিকালীন বিধিনিষেধের কারণে এখন তারা প্রতি সপ্তাহে মাত্র একটি করেই ভিডিও আপলোড করছে, কিন্তু, প্রতিটিই সুপার হিট। রান্নার উপকরণের মতো তাদের ভিডিও শুটিং এবং উপস্থাপনা চ্যানেলটিতে আলাদা মাত্রা যোগ করেছে। শুটিং করা হয় সবসময় ঘরের বাইরে - কোনও মাঠ কিংবা নদীর তীরে। পুডুককোটাই গ্রাম এবং তার আশেপাশের এলাকাতেই হয় শুটিং।
রান্না করা হয় বিশাল বিশাল পাত্রে, প্রচুর পরিমাণে। কোনও একটি পর্বের শ্যুটিং হয়ে যাওয়ার পর করার পরে ভিলেজ কুকিং চ্যানেলের পক্ষ থেকে ওইদিনের রান্না করা খাবার, স্থানীয়দের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়। এই ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে তাদের পরিবার প্রতি মাসে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা করে আয় করে থাকে। এছাড়া তাদের ফেসবুক পেজ থেকেও কিছু অতিরিক্ত উপার্জন হয়। আর, এই অনুষ্ঠানটি প্রযোজনার পিছনে মাসে মাসে তাদেরখরচ হয় মাত্র দুই লক্ষ টাকা।