কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন তিনটি কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে আগামী দিনে বড় কর্মসূচি গ্রহণ করেছে আন্দোলনকারী কৃষকরা। ২২ জুলাই পার্লামেন্টের বাইর বিক্ষোভ দেখান হবে। এছাড়াই প্রতিদিন প্রায় ২০০ কৃষক সংসদের বাইরে অবস্থান বিক্ষোভ করবেন। একই সঙ্গে আন্দোলনকারী কৃষকরা জানিয়েছে পেট্রোল ও ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদেও তাঁরা আন্দোলনে সামিল হবেন।
বাবার হাতে তৈরি করা দোলনা মৃত্যু ফাঁদ মেয়ের, প্রাণ গেল ১০ বছরের অঙ্কিতার
কৃষক সংগঠনগুলির পক্ষ থেকে জানান হয়েছে এবারের আন্দোলন আরও জোরদার হবে। সংগঠনের পক্ষ থেকে আরও জানান হয়েছে, বাদল অধিবেশন চলাকালীন বাইরে প্রায় ২০০ জন কৃষক প্রতিদিন বিক্ষোভ দেখাবে। ২২ জুলাই আন্দোলন বড় হবে। সেই দিন সংগঠনের পক্ষ থেকে সংসদের বাইরে ধর্না প্রদর্শন করবেন আন্দোলনকারী কৃষকরা। কেন্দ্রীয় সরকার যাতে অবিলম্বের নতুন কৃষি আইন প্রত্যাহার করে তার জন্যই এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। এছাড়াও কৃষক সংগঠনের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে পেট্রোল আর ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে আগামী ৮ জুলাই দেশজুড়ে প্রতিবাদ জানাবে। এই আন্দোলনে দেশের সাধারণ মানুষকেও সামিল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে তাঁরা।
বিমানবন্দর থেকে ৩ কিলোমিটার দূরে ভেঙে পড়ে রাশিয়ার AN-26 বিমান , সাগরের জলে ভাসছে ধ্বংসাবশেষ
আগামী ১৯ জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে সংসদের বাদল অধিবেশন। অধিবেশন শুরুর পরেই আন্দোলনকারী কৃষকরা একটি চিঠি পাঠাবেন। সেখানে কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন তিনটি আইন নিয়ে যাতে আলোচনা করা হয় তারও দাবি জানান হবে। একটি সূত্রে জানাচ্ছে আগামী ২১ জুলাই ট্রাক্টর নিয়ে কৃষকরা আবারও রাজধানী দিল্লিতে প্রবেশ করতে পারেন। তবে এবিষয়ে এখনও পর্যন্ত সংগঠনের পক্ষ তেকে কিছুই জানান হয়নি। সিংহু, গাজিয়াবাদ, টিকরি, ধনসা শাহজাহানপুরের মত দিল্লির সামীনা এলাকাগুলিকে কৃষকদের জমায়েত বাড়ছে। ইতিমধ্যেই কয়েক হাজার কৃষক তাঁবু ফেলেছেন সীমানা এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দারাও যে কৃষকদের এই আন্দোলনে সামিল হয়েছে সেকথা জানিয়েছেন ভারতীয় কৃষক ইউনিয়নের সদস্য ধর্মেন্দ্র সিং। তিনি বলেছেন আবহাওয়া খারাপ থাকায় স্থানীয় বাসিন্দারাই আন্দোলনকারীদের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করেছে।
দালাই লামাকে ৮৬তম জন্মদিনের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রী মোদীর, বাড়িয়ে দিল চিনের অস্বস্তি
রাকেশ টিকাইত বলেছেন আগের বারের মত এবারও শান্তিপূর্ণ অবস্থান করবেন আন্দোলনকারী কৃষকরা। বাদল অধিবেশনচলাকালীন প্রতিদিন ২০০ জন কৃষক অবস্থান বিক্ষোভ করবেন সংসদের বাইরে। কৃষকদের সঙ্গে কথা বলতে সরকার আগ্রহী নয় বলেই তাঁদের এই পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। গত নভেম্বর মাস থেকেই নতুন তিনটি কৃষি আইনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন আন্দোলনকারী কৃষকরা।