করোনার দ্রুত বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে দেশের বেশিরভাগ রাজ্যেই ইতিমধ্যে নতুন বিধিনিষেধ জারি করেছে। অন্যান্য রাজ্যের পাশাপাশি করোনা বাড়বাড়ন্ত দেখে ইতিমধ্যেই একগুচ্ছ বিধি-নিষেধ জারি হয়েছিল কর্ণাটকেও। এবার জারি হয়ে গেল সপ্তাহান্তের কারফিউ।
দেশে ওমিক্রণ ভেরিয়েন্টের(Omicron variant) নিত্যনতুন কামড়ের পাশাপাশি করোনা ভাইরাসের নতুন কেস(New case of corona virus) আবারও গতি পেয়েছে। প্রতিদিন নতুন নতুন মামলা নথিভুক্ত হচ্ছে, তাও ব্যাপক হারে বাড়ছে। করোনার দ্রুত বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে দেশের বেশিরভাগ রাজ্যেই ইতিমধ্যে নতুন বিধিনিষেধ জারি করেছে। অন্যান্য রাজ্যের পাশাপাশি করোনা(Coronavirus) বাড়বাড়ন্ত দেখে ইতিমধ্যেই একগুচ্ছ বিধি-নিষেধ জারি হয়েছিল কর্ণাটকেও(Karnataka)। এবার জারি হয়ে গেল সপ্তাহান্তের কারফিউ(Weekend curfew)। এদিনই কর্ণাটকের বাসভরাজ বোমাই সরকার রাজ্যে সপ্তাহান্তে কারফিউ আরোপের ঘোষণা করেছে বলে জানা যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের সাথে পর্যালোচনা বৈঠকের পরপরই, কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসভরাজ বোমাই(Karnataka Chief Minister Basavaraj Bombay) রাজ্যে সপ্তাহান্তে কারফিউ জারির কথা প্রকাশ্যে জানান।
রাজ্য সরকারের জারি করা সর্বশেষ নির্দেশিকা অনুসারে, শুক্রবার রাত ১০টা থেকে সোমবার সকাল ৫টা পর্যন্ত সপ্তাহান্তের কারফিউ চলবে গোটা রাজ্যে। একইসাথে ওমিক্রন এবং করোনা সংক্রমণের ক্রমবর্ধমান গতি রুখতে লকডাউন সহ আরও একগুচ্ছ বিধিনিষেধও জারি করা হয়েছে। এদিকে রাজ্য সরকারের তরফে আরও জানানো হয়েছে, বর্তমানে সেখানকার কোভিড পরিস্থিতি এবং ওমিক্রন সম্পর্কিত বিষয়গুলি পর্যালোচনা করতে দফায় দফায় বৈঠক চলছে স্বাস্থ্য কর্তাদের সঙ্গে। ইতিমধ্যেই বেঙ্গালুরুর 8 টি জোনে 8 জন আইএএস অফিসারকে মোতায়েন করা হয়েছে গোটা পরিস্থিতির উপর সরেজমিনে নজরদারি চালাতে। অন্যদিকে কর্ণাটকের মন্ত্রী আর অশোকা বলেছেন, থিয়েটার, মল, পাব এবং বারগুলি ৫০ শতাংশ উপভোক্তা নিয়ে খোলা রাখা যাবে। যদিও কর্ণাটক সরকার যে কোনও পাবলিক প্লেসে সব ধরনের জমায়েত নিষিদ্ধ করেছে। এছাড়াও, দশম ও দ্বাদশ শ্রেণী ছাড়া, বেঙ্গালুরুর সমস্ত স্কুল ৬ জানুয়ারি থেকে ২ সপ্তাহের জন্য বন্ধ থাকবে বলেও জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন- পশ্চিম মেদিনীপুরে হু হু করে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা, বাড়ল কন্টেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা
এদিকে পরিসংখ্যান বলছে মঙ্গলবার কর্ণাটকে নতুন করে করোনার কবলে পড়েন ২ হাজার ৫৭৯ জন। এই নিয়েই রাজ্যে বর্তমানে মোট কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০ লক্ষ ১৩ হাজারেও বেশি। একইসঙ্গে এদিন আরও চার রোগীর মৃত্যু হওয়ায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৩৮ হাজার ৩৫৫। রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর এক বুলেটিন জারি করে এই তথ্য জানিয়েছে। কর্ণাটকে, তিন মাসের ব্যবধানে ১ জানুয়ারিতে সংক্রমণের নতুন মামলার সংখ্যা ছিল এক হাজারেরও বেশি। এরপর ২ জানুয়ারি ১ হাজার ১৮৭ জন এবং ৩ জানুয়ারি সোমবার ১ হাজার ২৯০ জনের করোনা সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে। একিসাথে কর্ণাটকে করোনার সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বেড়ে ১৩ হাজার ৫৩২। তাতেও নতুন করে বেড়েছে উদ্বেগ।