গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসের আক্রান্তের সংখ্যা ৩৮৬। সবমিলিয়ে এপর্যন্ত গোটা দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ১হাজার ৬শ ৩৭। এখনও পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৩৮ জনের। তবে বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে থেকে নিমাজুদ্দিনের জমাত ঘিরে রীতিমত উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।
দক্ষিণ দিল্লির নিজামুদ্দিনে ধর্মীয় জমায়েতে যুক্ত থাকা ১৮০০ জনের জন্য ৯টি হাসপাতাল ও কোয়ারান্টাইনের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলেও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফ থেকে জানান হয়েছে। গতকালই নিজামুদ্দিনে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে আক্রান্তের খবর সামনে আসে। যার প্রভাবে দিল্লিতে ক্রমশই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। একই সঙ্গে ওই ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগদানকারীরা বর্তমানে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে রয়েছেন। তাঁদের মধ্যমেও অনেক মানুষের সংক্রমণের খবর সামনে আসছে।
দেশের করোনাভাইরাসের সংক্রমণের পরিস্থিতি মোকাবিলায় সবরকম ভাবে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছে দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রক। তিনি বলেন প্রায় ৩ লক্ষ ২০ হাজার আইসোলেশন ও কোয়ারান্টাইন শয্যার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ওই ব্যবস্থা করেছে ভারতীয় রেল। ২০,০০০ কোচেই এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। আগামী দিনে প্রয়োজনে আরও ৫০,০০০ কোচ সরবরাহ করা হবে রেলের তরফ থেকে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে ৬,৭৫ ,১৩৩ অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য ২১,৪৮৬টি রিলিফ ক্যাম্পের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আশ্রয়ের পাশাপাশি সেখানে খাবারেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে বলেই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
এদিন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী জানিয়েছেন পার্সোনাল প্রোটেকটিভ ইকিউপমেন্ট ও এন৯৫ মাস্কের ত্মন কোনও ঘাটতি নেই দেশে।