বিয়ে পরে, আগে কর্তব্য, বিয়ের দিন আইসোলেশন ওয়ার্ডে ডিউটি দিয়ে বললেন কেরলের চিকিৎসক

  • করোনাভাইরাসের আক্রান্তদের পরিচর্যা আগে
  • বিয়ে পিছিয়ে দিল কেরলের চিকিৎসক
  • মেয়ের পদক্ষেপকে স্বাগত অভিভাবকদের
  • বিয়ের দিনেই ডিউটি দিলেন আইসোলেশন ওয়ার্ডে

Asianet News Bangla | Published : Apr 1, 2020 12:37 PM IST / Updated: Apr 01 2020, 07:00 PM IST

সবার আগে কর্তব্য। পাশে দাঁড়াতে হবে দুস্থ জনের। সবার কাছেই পৌঁছে দিয়ে হবে সেবা। চিকিৎসক হিসেবে কাজে যোগ দেওয়ার আগে এখনও প্রথা মন শপথ বাক্য পাঠ করতে হয় চিকিৎসকদের। কিন্তু তারপর যেইকে সেই। অনেক চিকিৎসক ভুলেই যান সেই শপথ। কিন্তু সেই দিনের নেওয়া শপথ যে ভোলেননি তা প্রমান করে দিলেন কেরলের এক চিকিৎসক। 

নিজের জীবনের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ দিনটি ঝলমলে দামি পোষাকের পরিবর্তে  পার্সোনাল প্রোটেকশান ইকুইপমেন্ট পরেই রওনা দিলেন কর্মক্ষেত্রের উদ্দেশ্যে। আর বাড়ি ছাড়ার আগে জানিয়ে গেলেন বিয়ে পরেও করা যাবে। কিন্তু করোনা আক্রান্ত বহু মানুষ যারা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে সামান্য দেরী হলেও তাঁদের বাঁচানো যাবে না। মাত্র ২৩ বছরের শিফা এম মহম্মদ কেরলের কুন্নুর জেলার পরিয়ারাম হাসপাতালের আইসোলেশন বিভাগের দায়িত্বে রয়েছেন। 

মেয়ের এই কাণ্ডকারখানায় রীতিমক হতবাক বাবা মুক্কাম মহম্মদ। তবে মেয়ের এক পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন তিনি। বলেছেন বর্তমানে বড় কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে দেশ। করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে বহু মানুষই ভর্তি রয়েছেন হাসপাতালে। তাই এই সময় বিয়ে পিছিয়ে দিয়ে ঠিক পদক্ষেপই নিয়েছে তাঁর মেয়ে। তিনি কংগ্রেস নেতা। সমাজকর্মী হিসেবে নিজের পরিচয় দেন। তাঁর স্ত্রী শিক্ষক। তাই ছোট বেলা থেকে  মেয়ে বাড়িতেই সমাজ সেবার শিক্ষা পেয়ে এসেছে। তাঁর বড় মেয়েও চিকিৎসক। তিনি কোজিকোড়ের একটি সরকারি হাসপাতালে কর্মরত। 

আরও পড়ুনঃ করোনা আতঙ্কের মধ্যেই বাদুড় বিক্রির সিদ্ধান্ত চিনের, ভয়ঙ্কর পরিণতি আশঙ্কা বিজ্ঞানীদের

আরও পড়ুনঃআবারও দিল্লিতে করোনায় সংক্রমিত চিকিৎসক, বন্ধ করে দেওয়া হল সরকারি হাসপাতাল

গত রবিবার বিয়ের দিন ছিল শিফার। পাত্র দুবাইয়ের ব্যবসায়ী। নতুন জীবনে পা রাখার আগে আরও পাঁচটা মেয়ের মতই হয়তো  রঙিন স্বপ্ন দেখেছিলেন শিফা। কিন্তু করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অঙ্গিকীর করায় সাময়িক দূরে সরিয়ে রাখতে হয় তাঁর সেই স্বপ্নকে। আপাতত করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের স্বাস্থ্য পরিষেবা দিতেই উদ্যোগি হয়েছেন শিফা। তাঁর এই পদক্ষেপকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন তাঁরা হবু স্বামীও। 

কেরলে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মারাত্মক আকার নিয়েছে। এখনও পর্যন্ত শতাধিক মানুষ  আক্রান্ত হয়েছেন মারাত্মক ছোঁয়াচে এই ভাইরাসে। গত ডিসেম্বর থেকেই কেরল লড়াই করছে করোনাভাইরাসের সঙ্গে। আর সেই লড়াইতে সামনের সারিতে রয়েছেন শিফার মত দৃঢ়় চেতা চিকিৎসকরাই। যাঁরা নিজের জীবন বিপন্ন করে প্রাণ ফিরিয়ে দিতে মরিয়া করোনা আক্রান্তদের।  

Share this article
click me!