লকডাউনের শেষ ২ সপ্তাহে হাল ধরতে মরিয়া কেজরিওয়াল প্রশাসন, ঘোষণা আর কোনও ছাড় নেই দিল্লিতে

লকডাউনে আর কোনও ছড়া দেওয়া হবে না
লকডাউন শেষ হতে আরও ২ সপ্তাহ বাকি
এই দুসপ্তাহেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে
জাহাঙ্গীরপুরীর ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ 

Asianet News Bangla | Published : Apr 19, 2020 9:08 AM IST

দিল্লির পরিস্থিতি ক্রমশই অবনতি হচ্ছে। আর তা নিয়ে রীতিমত উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। রবিবার নতুন করে ঘোষণা করলেন লকডাউনে আর একদমই ঢিলে দেওয়া হবে না। লকডাউনের এই শেষ দুই সপ্তাহে নতুন করে কোনও ছাড়ও দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ক্রমশই বাড়ছে দেশের রাজধানীতে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত পরিস্থিতি তাঁদের নিয়ন্ত্রণে আছে বলেও দাবি করেছেন তিনি। দুদফায় টানা ৪০ দিনের লকডাউন চলছে দেশে। আগামী সোমবার থেকে কয়েকটি ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু সেই দিল্লিতে পাওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তবে কেজরিওয়াল জানিয়েছেন,শুক্রবারই দিল্লিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১৮৬। যা রীতিমত চিন্তার বিষয় বলেও জানান হয়েছে দিল্লি প্রশাসনের তরফ থেকে। 

 

বর্তমানে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য দিল্লিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১৮৯৩। এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৪২ জনের। শনিবার রাতে দিল্লির একটি হাসপাতালে ৪৫ দিনের এক সদ্যোজাতের মৃত্যু হয়। আগেই অবশ্য জানা গিয়েছিল শিশুটি করোনাভাইরাসে সংক্রমিত। 

অন্যদিকে উত্তর দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরীর ঘটনায় শনিবার রাত থেকেই রীতিমত উদ্বেগ বাড়িয়েছে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের। কারণ ওই এলাকায় একটি পরিবারের ২৬ জনই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। কয়েকদিন আগে থেকে ওই এলাকাকে কোয়ারেন্টাইন জোনের মধ্যে ফেলা হয়েছিল। প্রশাসনের অভিযোগ তারপরেও স্থানীয় বাসিন্দারা শারীরিক দূরত্ব বজায় না রেখেই মেলামেশা করেছেন। আর তারই ফলে একই পরিবারে ২৬ জন করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন কেজরিওয়াল। 

লকডাউনের সময় স্থানীয় বাসিন্দারা একাধিক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। একথা জানিয়েও অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেন  করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে গেলে সংযত হতেই হবে স্থানীয় বাসিন্দাদের। মানুষ সংক্রমিত হবেন কিনা সেটা সম্পূর্ণ তারওপরই নির্ভর করছে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি কেজরিওয়াল জানিয়েছেন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এক রোগী তাঁকে জানিয়েছেন, সরকারি খ্যাদ্য সরবরাহ কেন্দ্রে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবেই নাকি তিনি কর্মরত ছিলেন। আর সেখানেই থেকেই সংক্রমণ ছড়াচ্ছে এই  আশঙ্কা করে অরবিন্দ কেজরিওয়াল খাবারের কেন্দ্র থেকে যেসব মানুষ আসছেন তাঁদের দ্রুত নমুনা পরীক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি যাঁরা স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করছেন তাঁদেরও দ্রুত নমুনা পরীক্ষা করা হবে বলেও প্রশাসনের তরফ থেকে জানান হয়েছে। 

আরও পড়ুনঃ করোনা ভাইরাসে আক্রান্তে হয়ে মৃত্যু ৫০৭ জনের, আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ হাজারেরও বেশি .

আরও পড়ুনঃ প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগ নীতিতে বড়সড় রদবদল, চিনকে আটকাতে মরিয়া কেন্দ্র ..

করেনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে প্রথম থেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। লকডাউনের দাবিও জানিয়ে আসছিলেন। কিন্তু তাবলিগি জামাত, মহল্লা ডাক্তার, দিলসাদ গার্ডেনের ঘটনা একের পর এক সামনে আসতে থাকে। যা হৃদস্পন্দন বাড়াতে থাকে আম আদমি পার্টি প্রশাসনের। 

Share this article
click me!