সংক্ষিপ্ত
প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগ নীতিতে রদবদল
ভারতে বিনিয়োগের জন্য সীমান্তবর্তী রাষ্ট্রের বাসিন্দাকে নিতে হবে সরকারি অনুমোদন
সংস্থাকেও কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমোদন ছাড়া বিনিয়োগ করতে পারবে না
চিনকে আটকাতে এই পদক্ষেপ বলেই অনুমান বিশেষজ্ঞদের
প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগ বা এফডিআই নীতিতে বড়সড় রদবদল আনল কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। সীমান্ত লাগোয়া কোনও দেশ থেকে কোনও ব্যক্তি বা কোনও সংস্থা ভারতে সরাসরি বিনিয়োগ করতে পারবে না। বিনিয়োগ করার আগে কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমতি নিতে হবে। নতুন করে এই বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে কেন্দ্রের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রক। তাঁদের জারি করা বিবৃতিতেত বলা হয়েছে. ভারতের সীমান্ত লাগোয়া কোনও দেশের কোনও সংস্থা বা ব্যক্তি যদি এই দেশে বিনিয়োগ করতে চায় সেক্ষেত্রের কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক। সূত্রের খবর চিনকে আটকাতেই এই সিন্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে বর্তমানে লকডাউনের পথে হেঁটেছে ভারত। গোটা দেশে প্রায় স্তব্ধ জনজীবন। যার ব্যপক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে ভারতীয় অর্থনীতিতে। রীতমত ধাক্কা খাচ্ছে নির্মান শিল্প থেকে শুরু করে ব্যাঙ্কিং শিল্প। এই পরিস্থিতিততে বিদেশী সংস্থাগুলি দেশীয় সংস্থার শেয়ার কিনে আর লগ্নি করে একতরফা লাভ করতে চাইছে। করোনাভাইাসের এই সংক্রমণের মধ্যেই ভারেতের গৃহঋণ দাতা হিসেবে সর্বধিক প্রসিদ্ধ এইডিএফসি ব্যাঙ্কের প্রচুর টাকার শেয়ার কিনে নিয়েছেন চিনের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক বা পিপিলস ব্যাঙ্ক অব চায়না । বর্তমানে এইচ়ডিএফসি ব্যাঙ্কের প্রায় ১.০১ শতাংশ শেয়ারে মালিকানা চিনের ব্যাঙ্কের হাতে। যা নিয়ে রীতিমত সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারকে। তাই রাতারাতি প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগ নীতিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আগে এই নীতি পাকিস্তান ও বাংলাদেশের জন্য কার্যকর ছিল। নতুন বিবৃতিতে বলা হয়েছে ভারতের সীমান্তবর্তী যে কোনও দেশের মানুষকেই ভারতে বিনিয়োগ করতে গেলে কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমতি নিতে হবে।
আরও পড়ুনঃ ২৮ না ১৪ কত দিনের কোয়ারেন্টাইন উপযুক্ত, কী মনে করছে করোনা মোকাবিলায় রোল মডেল কেরল ...
আরও পড়ুনঃ লকডাউনের পরই করোনাভাইরাসের সংক্রমণে লাগাম পরানো গেছে, দাবি স্বাস্থ্য মন্ত্রকের ...
আরও পড়ুনঃ লকডাউনে সায় নেই, অত্যাধিক টেস্টও করেনি, করোনা মোকাবিলায় সফল চিনের প্রতিবেশী তাইওয়ান ...
ভারতে দুধরনের বিদেশী বিনিয়োগ হয়। একটি ক্ষেত্রে বিদেশী বিনিয়োগের জন্য সরকারের কোনও অনুমোদন লাগে না। অন্যক্ষেত্রে সরকারের অনুমতি ছাড়া বিদেশী বিনিয়োগ করা যায় না। অন্যদিকে আবার প্রতিরক্ষা, ওষুধসহ প্রায় ১৭টি ক্ষেত্র রয়েছে যেখানে সরকারি অনুমোদন ছাড়া বিদেশি বিনিয়োগ সম্ভবই নয়।