দিল্লির নিজামুদ্দিন এলাকার তবলিগ জামাতে অংশগ্রহণকারীদের নিয়ে বেজায় ফাঁপরে পড়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। নিজামুদ্দিনের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া অবলিগিরা এখন রয়েছেন উত্তরপ্রদেশের একাধিক হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে। সেখানে তাঁদের অভব্য আচরণে নাজেহাল চিকিৎসক, নার্স থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যকর্মীরা। এর মধ্যেই এক নতুন কীর্তি স্থাপন করলেন এক তবলিগি সদস্য। একেবারে সরকারি হাসপাতাল থেকে পালালেন ওই করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি।
উত্তরপ্রদেশের বাগপেটের সরকারি হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছিল বছর ষাটের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ওই ব্যক্তিকে। অভিযোগ সোমবার রাতে আইসোলেশন ওয়ার্ডের জানালার কাঁচ ভেঙে পালায় সে। পালানোর সময় পরনের পোশাকটিকে দড়ি হিসাবে ব্যবাহর করে আসলোশেন ওয়ার্ড থেকে নীচে নামে ওই ব্যক্তি।
ট্রাম্পের হুঁশিয়ারিতেই উঠে গেল নিষেধাজ্ঞা, ম্যালেরিয়ার ওষুধের ফের রফতানি শুরু করছে ভারত
ভিক্ষের পর এবার 'বন্ধু' মোদীকে হুমকি ট্রাম্পের, ওষুধ না পাঠালে পরিণতি হবে মারাত্মক
লকডাউন কমিয়ে দেবে ৫০ শতাংশ মৃত্যুহার, করোনা সচেতনতা বাড়াতে এবার মুখ খুললেন দেবী শেঠি
নেপাল থেকে ১৭ জনের একটি দল এসেছিল দিল্লির তবলিগ জামাতের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশ নিতে। করোনা সংক্রমণের আশঙ্কায় গত শুক্রবার বাগপেটের কমিউনিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ওই দলটিকে। যার সদস্য ছিলেন ৬০ বছরের ওই ব্যক্তিও। পলতাক ওই করোনা আক্রান্তের খোঁজে ইতিমধ্যে হাসপাতাল সংলগ্ন গ্রাম গুলিতে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
গত কয়েকদিন ধরেই উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে তবলিগিদের তাণ্ডব খবর শিরোনামে থেকেছে। তবে বাগপেটের হাসপাতাল থেকে পলাতক ব্যক্তি খুব নম্র স্বভাবের ছিলেন বলেই জানা যাচ্ছে। হাসপাতালের চিফ মেডিক্যাল অফিসার আরকে ট্যান্ডিন জানাচ্ছেন, " তিনি খুবই ভদ্র ছিলেন এবং তাঁকে নিয়ে কোনও সমস্যা ছিল না।" এই অবস্থায় ওই করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির পালিয়ে যাওয়া নিয়ে সকলেই হতবাক। ওই ব্যক্তির থেকে এখন গোষ্ঠী সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখছেন অনেকেই।
বর্তমানে এদেশে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ৩০ শতাংশই তবলিগ জামাতে অংশগ্রহণকারী। প্রত্যেকটি রাজ্যেই গোষ্ঠী সংক্রমণ আটকাতে তবলিগিদের চিহ্নিত করে কোয়ারেন্টাইনে পাঠান হচ্ছে। গত সোমবারই হরিয়ানার কার্নালে আইসলোশেন ওয়ার্ড থেকে পালাতে গিয়ে ৭ তলা থেকে পড়ে মৃত্যু হয় ৫৫ বছরের এক তবলিগি সদস্যের।