ট্রাম্পের হুঁশিয়ারিতেই উঠে গেল নিষেধাজ্ঞা, ম্যালেরিয়ার ওষুধের ফের রফতানি শুরু করছে ভারত

  • দেশে করোনা সংক্রমণের পর বন্ধ হয়েছিল ওষুধের রফতানি
  • প্যারাসিটামল ও হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন রফতানি বন্ধ হয়
  • ওষুধ না পেলে কড়া ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প
  • তারপরেই ওষুধ রফতানিতে আংশিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল মোদী সরকার

Asianet News Bangla | Published : Apr 7, 2020 5:49 AM IST / Updated: Apr 07 2020, 11:26 AM IST

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজের বন্ধু বলে সম্বোধন কের থাকেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। কিন্তু নিজের দেশ যখন করোনা সংক্রমণের শিকার তখন সেই বন্ধুকেও হুমকি দিতে ছাড়েননি আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মোদীকে ফোন করে ম্যালেরিয়ার ওষুধ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের রপতানি ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে অনুরোধ করেছিলেন ট্রাম্প। তবে কেবল অনুরোধ নয় ট্রাম্পের গলায় ছিল বদলার সুরও। আমেরিকা ওষুধ না পেলে ভারতের সঙ্গে বহু প্রতিক্ষিত বাণিজ্য চুক্তির ভবিষ্যত যে অন্ধকার তা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন মার্কনি প্রেসিডেন্ট। আর এই মার্কিন হুমকি আসার কয়েকঘণ্টার মধ্যেই প্যারাসিটামল ও হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন রফতানির ক্ষেত্র আংশিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল ভারত সরকার।

ভিক্ষের পর এবার 'বন্ধু' মোদীকে হুমকি ট্রাম্পের, ওষুধ না পাঠালে পরিণতি হবে মারাত্মক

রক্ষে পেল না বাঘমামাও, চিড়িয়াখানায় এবার করোনা সংক্রমণের শিকার ৪ বছরের নাদিয়া

বাতাস থেকে দ্রুত ছড়ানোর কোনও প্রমাণ মেলেনি, মারণ ভাইরাস নিয়ে আশার আলো দেখাল আইসিএমআর

সারা বিশ্বে ভারতেই সবচেয়ে বেশি পরিমাণে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন তৈরি হয়। এদেশে করোনার প্রকোপ বাড়তেই গত  ২৫ মার্চ সরকার সেই ওষুধ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। করোনার সংকটময় পরিস্থিতিতে এই ওষুধের যাতে আকারলনা পড়ে, তার জন্যই তড়িঘড়ি এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।  ৪ এপ্রিল ফের বলা হয়, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল থেকেও এই ওষুধ বা তার কোনও উপাদান বিদেশে পাঠানো যাবে না। সাধারণত বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের ওপরে এই ধরনের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় না।

তবে মানবতার খাতিরে এই নিষেধাত্রা তারা আংশিক শিথিল করছে বলে এদিন বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে ভারতের বিদেশমন্ত্রক। প্রতিবেশী যেসব দেশে করোনা সংক্রমণের ঘটনা সবচেয়ে বেশি সেখানে প্যারাসিটামল ও হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন রফতানি করা হবে বলে জানান হয়েছে। পাশাপাশি বিশ্বের যেসব দেশে করোনা সংক্রমণ সবচেয়ে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে সেখানেও ভারত সরকার এই ওষুধগুলির রফতানি করবে। ফলে আমেরিকায় হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন রফতানির ক্ষেত্রে আরোপ করা নিষেধাজ্ঞা কার্যত তুলে নিল ভারত সরকার।যদিও এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই বলেই দাবি করেছে দেশের বিদেশ মন্ত্রক।

 

 

মঙ্গলবার সকালে ২৪টি প্যারাসিটামলের রফতানির উপরও নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় ভারত সরকার। এখনও পর্যন্ত কোভিড ১৯ রোগের কোনও প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। এই অবস্থায়  ম্যালেরিয়ার চিকিৎসায় ব্যবহার করা হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন  কোভিড ১৯ রোগীদের উপর ভাল কাজ করছে বলে  চিকিৎসকদের দাবি। আমেরিকা এখন কোভিড ১৯ রোগের কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। হাজার হাজার মানুষ মারা যাচ্ছেন। আমেরিকা সরকারও এই ম্যালেরিয়ার ওষুধ দিয়েই দেশের মানুষের রোগ নিরাময়ের চেষ্টা করছে।

 

 

এদিকে করোনা ভাইরাসের আতঙ্কের মধ্যেই ভারতের বাজারে গত কয়েকদিন হল দেখা মিলছে না প্যারাসিটামলের মত অতি প্রয়োজনী ওষুধের। জ্বর হলে সাধারণত এদেশের মানুষ প্যারাসিটামলের মত নিরাপদ ওষুধকেই ভরসা করেন। তবে করোনা আতঙ্কে এখন চিকিৎসকের প্রেসকিপশন ছাড়া ওষুধের দোকানে মিলছে না ওষুধ। এমনকি ওষুধের যোগানও অপ্রচুল বলে জানাচ্ছে ওষুধের দোকানগুলি। এই অবস্থায় মার্কিন চাপে প্যারাসিটামল ও হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের রফতানি শুরু হলে দেশের মানুষের কীভাবে চিকিৎসা হবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহল থেকে। তবে জানা যাচ্ছে, ভারত সরকার স্থির করেছে, দেশের প্রয়োজন মিটিয়ে বাড়তি  হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন এবং প্যারাসিটামল বিদেশে পাঠানো হবে।


 

Share this article
click me!