দেশের করোনা পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ। করোনা ভাইরাস এবার ছাড়ছে না পশু পাখীদেরও। এই মর্মে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলিকে সতর্ক করল কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রক। এক চিঠি লিখে পরিবেশ মন্ত্রক জানিয়েছে সম্প্রতি একাধিক এশিয়াটিক সিংহের মৃত্যু ঘটেছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে।
এই ইস্যুতে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে পরিবেশ ও বন মন্ত্রক। মন্ত্রক জানিয়েছে পশু পাখীদের মধ্যে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতির হার বাড়ছে, যা বেশ আশঙ্কা জনক। এই পরিস্থিতিতে বন মন্ত্রকের পরামর্শ দেশের সব কটি ন্যাশনাল পার্ক, অভয়ারণ্য ও পাখীরালয় বন্ধ করে দেওয়া হোক। সব কটি রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের কাছেই এই চিঠি পৌঁছেছে। কোনও দর্শক বা ট্যুরিষ্টকে যাতে অভয়ারণ্য বা পাখিরালয়ে ঢুকতে দেওয়া না হয়, তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
বন মন্ত্রকের দাবি মানুষের যাতায়াত বন্ধ করলেই পশু পাখীদের মধ্যে সংক্রমণের হার কম হবে। তাই এই কড়া পদক্ষেপ সরকারগুলিকেই নিতে হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কাছে বন ও পরিবেশ মন্ত্রকের আবেদন জঙ্গল লাগোয়া গ্রাম বা এলাকার মানুষের যাতায়াতও নিয়ন্ত্রণ করা হোক।
বন মন্ত্রকের আশঙ্কা, মানুষের থেকে যেমন করোনা ভাইরাস ছড়াচ্ছে পশু পাখীর মধ্যে, তেমনই পশু পাখীর থেকেও ছড়াতে পারে করোনা ভাইরাস। তাই মানুষের অবাধ প্রবেশ বন্ধ করা উচিত।
এদিকে, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ভয়ানক পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে ভারতে। একের পর এক রাজ্যের সংক্রমণের হার বাড়ছে। পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর রূপ নিচ্ছে দেশের কয়েকটি রাজ্যে। এরই মাঝে দৈনিক সংক্রমণের মাত্রা যে হারে বেড়েছে তা এক কথায় বলতে গেলে চিন্তার ভাঁজ ফেলছে সাধারণের কপালে। গত নয় দিন ধরে প্রতিদিন গড়ে তিন লক্ষ পার করেছে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা। এবার ১০ দিনের মাথায় তা ছাড়িয়ে গেল ৪ লক্ষ।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ লক্ষ ১ হাজার ৯৯৩ জন। মৃত্যু ঘটেছে ৩,৫২৩ জনের। এখনও পর্যন্ত দেশের বুকে মোট মৃত্যু ঘটেছে ২ লক্ষ ১১ হাজার ৮৫৩ জনের। দেশের বুকে বর্তমানে করোনা চিকিৎসা বেশ কিছু রাজ্যের ক্ষেত্রে বেশ সংকটের মুখে। এই মুহূর্তে দেশে সক্রিয় রোগী রয়েছেন ৩২ লক্ষ ৬৮ হাজার ৭১০ জন। পরিস্থিতি সামাল দিতে কোথাও কারফিউ, কোথাও আংকিশ লকডাউনের পথে হাঁটছে সরকার।