করোনা তৃতীয় তরঙ্গে এখনও আছড়ে পড়েনি ভারতে। কিন্তু তার আগেই করোনা তৃতীয় তরঙ্গ নিয়ে উত্তপ্ত দিল্লির রাজনীতি। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল করোনার তৃতীয় তরঙ্গ ইস্যুতে বলেছেন সিঙ্গাপুর স্ট্রেইনই এর জন্য দায়ি হতে পারে। তাঁদের দাবি সিঙ্গাপুরের স্ট্রেইন থেকে এখন থেকেই সাবধানতা অবলম্বন করা অত্যন্ত জরুরি। যদিও এদিন বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়েছেন কেজরিওয়াল ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেন না। তারপরেই তা নিয়ে থেমে নেই বিজেপি। বিজেপির মুখপাত্র তথা রাজ্যসভার সাংসদ রাজীব চন্দ্রশেখরও কেজওয়াল ও রাহুল গান্ধীর তীব্র সমালোচনা করেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে রাজীব চন্দ্রশেখর কেজরিওয়ালের সঙ্গে নিশানা করেন রাহুল গান্ধীকেও। তিনি বলেন রাহুল গান্ধী ও কেজরিওয়াল সর্বদা মানুষকে অবসন্ন ও বিভ্রান্ত করার প্রতিযোগিতায় সামিল হয়। এই বিষয়গুলিতে কে বেশি এগিয়ে রয়েছে তাই নিয়ে তাঁদের মধ্যে সর্বদা লড়াই হয়। তারপরেই তিনি বলেন, তিনি মনে করেন এইএই বিবৃতি স্পষ্ট করে দেয় প্রতিযোগিতার প্রাথমিক অবস্থা।
যদিও সিঙ্গাপুরের পক্ষ থেকে নতুন কোনও স্ট্রেইনের কথা স্বীকার করা হয়নি। দূতাবাসের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, বর্তমানে সিঙ্গাপুরে একটি কোভিড স্ট্রেইন রয়েছে। সেটি হল B,617.2। যার উৎপত্তি ভারতে। তাই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর কোনও অধিকার নেই বিমান চলাচল ও জীবাণু নিয়ে কথা বলার। যদিও সিঙ্গাপুর প্রশাসনের পাশে দাঁড়িয়ে দিল্লিরে কেন্দ্রীয় সরকার। বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে জানান হয়েছে ভারত ও সিঙ্গাপুর ঐক্যবদ্ধ হয়ে কোভিড মোকাবিলা করছে।
কেজরিওয়াল বলেছিলেন, করোনার তৃতীয় তরঙ্গের জন্য দাবি হতে চলেছে সিঙ্গাপুর জিন। এটি মূলত শিশুদের সংক্রমিত করবে। করোনার নতুন রূপটি শিশুদের কাছে অত্যন্ত বিপজ্জনক হতে পারে। তাই শিশুদের সাবধানে রাখা অত্যন্ত জরুরি। আগেই অবশ্য কেজরিওয়াল সিঙ্গাপুরের সঙ্গে বিমান চলাচল ছিন্ন করার কথা বলেছিলেন। দিল্লির পদস্থ আধিকারিকরা মনে করছে কেজরিওয়ালের এজাতীয় মন্তব্য দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ওপর প্রভাব পড়তে পারে।