গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে ২.৩৪ লক্ষ মানুষ করোনার কবলে পড়েছেন। এরইমধ্যে দেখা গিয়েছে, মহারাষ্ট্র ছাড়াও দক্ষিণের রাজ্যগুলোতে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যাচ্ছে।
ভারত সহ বিশ্বের ১৯০ টিরও বেশি দেশ বর্তমানে করোনভাইরাসে আক্রান্ত। এখনও পর্যন্ত বিশ্বে ৩৬ কোটি ৯৭ লাখের বেশি মানুষ কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছেন। ৫৬ লাখেরও বেশি মানুষের জীবন কেড়ে নিয়েছে এই ভাইরাস। অন্যদিকে ভারতে এখনও পর্যন্ত দৈনিক আক্রান্তের (daily Corona case in india) সংখ্যা চার কোটি ৮ লাখ ছাড়িয়েছে। বিশ্বের অনেক দেশে পাশাপাশি ভারতেও কোভিড-১৯-এর নতুন রূপ ওমিক্রনের (Omicron in India) সংক্রমণের ঘটনাও বাড়ছে।
এদিকে এদিনই আবার ভারতে করোনা সংক্রমণ প্রায় দুই বছর পূর্ণ হল। আজ থেকে দু বছর আগে এদিনই প্রথম করোনা সংক্রমণের খবর পাওয়া যায়। তারপর থেকে, করোনার তিনটি রূপ সামনে এসেছে, যার মধ্যে ডেল্টাই সবচেয়ে বেশি ধ্বংসাত্মক রূপ নিয়েছিল গোটা দেশে। যদিও Omicron রূপটিও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। এদিকে এখনও পর্যন্ত দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১, ৮৮,৪৯,৩৭। অন্যদিকে মারা গিয়েছেন ৪৯,৪০,৯১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে ২.৩৪ লক্ষ মানুষ করোনার কবলে পড়েছেন। মারা গিয়েছেন ৮৯৩ জন। এসবের মাঝে দেখা গেছে, মহারাষ্ট্র ছাড়াও দক্ষিণের রাজ্যগুলোতে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যাচ্ছে। ভারতের জনসংখ্যার ৯.৩ শতাংশ মহারাষ্ট্রের। এখানে ১৮.৮ শতাংশ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। যেখানে এই রাজ্যে করোনার কারণে ২৮.৯ শতাংশ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
একইভাবে, ভারতের জনসংখ্যার ২.৮ শতাংশ কেরলে বাস করে। এখানেও ১৪.৩ শতাংশ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। রাজ্যটি ১০.৬ শতাংশ মৃত্যুর সাক্ষী। অন্যদিকে উত্তরপ্রদেশ দেশের মোট জনসংখ্যার ১৬.৫% বাস করে। এখানে মাত্র ৪.৯ শতাংশ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে এবং ৪.৭ শতাংশ মারা গেছে। অন্যদিকে বিহারে দেশের জনসংখ্যার ৮.৬ শতাংশ মানুষ থাকা সত্ত্বেও, দুই শতাংশ মানুষ সংক্রামিত হয়েছেন। পাশাপাশি ২.৫ শতাংশ মারা গিয়েছিল। অন্যদিকে করোনাকে বাগে আনতে গোটা দেশেই জোরকদমে চলছে টিকাকরণ প্রক্রিয়া। ইতিমধ্যেই দেশের যোগ্য প্রাপ্ত বয়ষ্কদের সিংহভাগেরই টিকারণ হয়ে গিয়েছে। সেই সঙ্গে শিশুদের টিকাকরণ প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে দেশে। এখনও পর্যন্ত দেশে ১,৬৫,৭০,৬০,৬৯২ জন করোনা ভ্যাকসিন পেয়েছেন।