কর্ণাটকের (Karnataka) কোভিড গ্রাফ (Covid Graph)নিম্নমুখী। তাই এবার নাউট কার্ফু (Night Curfew) তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল কর্ণাটক সরকার (Karnataka Government)। ৩১ জানুয়ারি থেকে বেঙ্গালুরুতে (Bengaluru) খুলতে চলেছে স্কুল।
কর্ণাটকের Karnataka) কোভিড গ্রাফ (Covid Graph) ক্রমশ নিম্নমুখী। উদ্বেগ পুরোপুরি না কাটলেও দেখা গিয়েছে আশার কিরণ। সেই কারণে ধীরে ধীরে কোভিড বিধিও শিথিল করছ সরকার। জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহের শেষেই সপ্তাহান্তের কার্ফু তোলার ঘোষণা করেছিল প্রশাসন। একইসঙ্গে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি পর্যালোচনা বিধিনিষেধ আরও শিথির করার কথা জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্বাই। এবাই সেই পথেই আরও কিছুটা অগ্রসর হল কর্ণাটক সরকার (Karnataka Government)। এবার নাইট কার্ফু (Night Curfew) তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে বাসবরাজ বোম্বাই সরকার। শনিবার রাতে এই ঘোষণা করা হয়েছে। একইসঙ্গে নতুন সপ্তাহ থেকেই ব্যাঙ্গালুরুতে (Bengaluru) স্কুল খোলারও অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
বেঙ্গালুরুর স্কুলগুলিকে কোভিড বিধি ৩১ জানুয়ারি থেকে ফের ক্লাস শুরুর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। প্রথমে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সী যাদের একটি টিকাকারণ হয়েছে তাদের নিয়ে শুরু হবে স্কুল। বিশেষজ্ঞরাও সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। কারণ শিক্ষার্থীরা প্রায় ২ বছর ধরে অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছে। যাতে আদতে ক্ষতি হচ্ছে। স্কুল খোলার সিদ্ধান্তে খুশি পড়ুয়ারাও। কর্ণাটকের মন্ত্রী বিসি নাগেশ বলেছেন যে পুনরায় চালু হওয়ার পরে সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলি অনুসরণ করার জন্য নির্দেশিকা জারি করা হবে।
কর্ণাটক সরকারের নয়া নির্দেশিকার জানানো হয়েছে, সরকার হোটেল, বার এবং পাবগুলিতে ৫০ শতাংশ উপস্থিতির নিয়ম প্রত্যাহার করেছে। তবে সিনেমা হলগুলিতে এখনও ৫০ শতাংশ দর্শক নিয়ে চালাবোর নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।এছাড়া সুইমিং পুল, জিম, স্পোর্টস কমপ্লেক্সগুলিও ৫০ শতাংশ উপস্থিত নিয়ে পরিচালনা করতে হবে। সরকারী অফিস ১০০ শতাংশ কর্মীদের উপস্থিতিতে কাজ করতে পারবে। মন্দিরগুলিতে ৫০ শতাংশ ভক্তদের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে বিক্ষোভ, অবস্থান, ধর্মীয় জমায়েত, রাজনৈতিক সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি।
কোভিড অতিমারীর প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রতিটি ঢেউয়েই দেশের যে সকল রাজ্যগুলির অবস্থা শোচনীয় হয়েছে, তাদের মধ্যে অন্যতম। তৃতীয় ঢেউয়ে বেঙ্গালুরুর দৈনিক আক্কান্তের সংখ্যা একদিনে সর্বাধিক ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে। তবে সেই গ্রাফ এখন অনেকটাই নিম্নমুখী। কারণ কর্ণাটকের মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ হাজারে নেমে এসেছে, বেঙ্গালুরু নেমে এসেছে ১৫ হাজারে। তবে পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে না আসার কর্ণাটক, কেরালা, তামিলনাড়ু এবং তেলেঙ্গানার স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের সাথে একটি উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠক করেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তবে যেভাবে গ্রাফ নীচের দিকে নামছে তাকে দ্রুক পরিস্থতির আরও উন্নতি হবে বলেই মনে করছেন সকলে।