কোভিড মহামারির মধ্যেই মানালিতে পর্যটকদের তুমুল ভিড়
সেই ছবিকে 'ভীতিজনক' বলল কেন্দ্রীয় সরকার
হিমাচল প্রদেশ সরকারকে চিঠি দিল স্বাস্থ্য মন্ত্রক
এই পর্যটন ক্ষেত্রে ফের লকডাউন জারি করা হতে পারে
সোমবার, কোভিড মহামারির মধ্যেই হিমাচল প্রদেশের শৈল শহর মানালিতে পর্যটকদের তুমুল ভিড় দেখা গিয়েছিল। সেই ছবিকে মঙ্গলবার 'ভীতিজনক' বলে বর্ণনা করলেন আইসিএমআর-এর ডিরেক্টর জেনারেল ডাক্তার বলরাম ভার্গব। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক হিমাচল প্রদেশ সরকারকে শিমলা ও মানালিতে যথাযথ কোভিড বিধি মেনে তলার বিষয়ে চিঠি দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। নাহলে, ফের এই পর্যটন ক্ষেত্রে লকডাউন জারি করা হতে পারে বলে সতর্কও করা হয়েছে।
গত এপ্রিল-মে মাসে ভারতে করোনা মহামারির দ্বিতীয় তরঙ্গ ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছিল। সেই তরঙ্গ এখনও চললেও তার শক্তি অনেকটাই কমেছে। সেইসঙ্গে করোনার টিকাকরণের জন্য অনেক রাজ্যের মতো হিমাচল প্রদেশেও কোভিড সংক্রান্ত বিধিনিষেধ কিছুটা শিথিল করা হয়েছে। আর তা করতেই উত্তর ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্য থেকে সমভূমির তাপপ্রবাহ এড়াতে হাজার হাজার পর্যটক বর্তমানে হিমাচলের বিভিন্ন শৈলশহর, বিশেষ করে সিমলা, কুলু-মানালি এবং ধর্মশালায় পাড়ি দিয়েছেন। আর তাতেই এখন এই শহরগুলিতে থিক-থিক করছে মানুষের ভিড়।
সোমবার সন্ধ্যাবেলাই একটি টুইট পোস্টে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক মানালির ভিড়ের ভাইরাল ছবি প্রকাশ করে, পর্যটকদের সামাজিক দূরত্ব, মাস্ক পরার মতো কোভিড বিধি বজায় রাখার জন্য অনুরোধ করেছিল। বলেছিল, 'মানালি অপেক্ষা করতে পারে, তবে ভাইরাস তা করবে না'। মঙ্গলবার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সাংবাদিক বৈঠকে আইসিএমআর-এর ডিজি ডাক্তার বলরাম ভার্গবও এই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যুগ্ম-সচিব লাভ আগরওয়াল বলেন, 'প্রোটোকল না মেনে চললে আমরা আবারও বিধিনিষেধের শিথিলতা বাতিল করতে পারি'।
সিমলার পুলিশ সুপার মোহিত চাওলা জানিয়েছেন, কোভিড-১৯ প্রোটোকল অনুসরণ করার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষকে বারবার আহ্বান জানানো হয়েছে। কেউ একাধিকবার কোভিড বিধি লঙ্ঘন করলে তার আট দিন পর্যন্ত জেলও হতে পারে, এমন হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে। এমনকী, হোটেল মালিকদের মাস্ক পরা, যথাযথ স্যানিটাইজেশন এবং অতিরিক্ত জনাকীর্ণতা এড়িয়ে যাওয়ার স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, হিমাচল প্রদেশে এখনও পর্যন্ত মোট ২,০২,৬৪২ গুলি করোনাভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা নথিবদ্ধ করা হয়েছে। এরমধ্যে ১,৯৭,৭৭৮ জনই সুস্থ হয়ে গিয়েছেন। আর রাজ্যে এখনও পর্যন্ত করোনার বলি হয়েছেন ৩,৪৬৭ জন। আর বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১,৩৬৫ জন।