সুনামি হয়ে উঠছে কোভিডের দ্বিতীয় তরঙ্গ
৭৫ শতাংশের বেশি রোগীদের লাগছে অক্সিজেন
আর তাই দেশে দেখা দিয়েছে অক্সিজেনের সঙ্কট
কীভাবে তা মেটাতে ভূমিকা নিচ্ছে আইএএফ
ডাক্তারবাবুদের চোখে জল চলে আসছে। অসহায়ভাবে জানাচ্ছেন, যা মজুত আছে, তাতে টেনেটুনে আর কয়েক ঘন্টা রোগীদের অক্সিজেন দেওয়া যাবে। হাউ হাউ করে কাঁদছেন রোগীর আত্মীয়রা। বৃহস্পতিবার, এমনই মর্মান্তিক ছবি ধরা পড়েছিল দেশের রাজধানী দিল্লির বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে। তবে দিল্লি কোনও ব্যতিক্রম নয়। সারা দেশেই বর্তমানে চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যবহারযোগ্য অক্সিজেন সরবরাহের অভাব দেখা দিয়েছে। আর এই সমস্যা মেটাতে এবার এগিয়ে এল ভারতের বায়ুসেনা।
বৃহস্পতিবারই, দেশে অক্সিজেন সরবরাহের হাল-হকিকত জানতে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বর্তমানে, নতুন যাদের সংক্রমণ ধরা পড়ছে, সেই কোভিড রোগীদের ৭৫ শতাংশের বেশি মানুষের অক্সিজেনের সহায়তা লাগছে। এই কারণেই আচমকা, দেশে দিন প্রতি প্রায় ৩৫০০ মেগাটন অক্সিজেনের চাহিদা বেড়েছে। আলোচনায় উঠে এসেছিল, অক্সিজেনের উৎপাদন বাড়ানোর চ্যালেঞ্জের থেকেও বড় চ্যালেঞ্জ সেই অক্সিজেন ফিলিং স্টেশনগুলি থেকে বিভিন্ন শহরে পৌঁছে দেওয়া। আর এই কাজেই সহায়তা করতে এগিয়ে এসেছে ভারতীয় বায়ুসেনা।
শুক্রবার বায়ুসেনার, সি-১৭ (C-17) এবং আইএল-৭৬ (IL-76) অর্থাৎ সামরিক মালবাহী বিমানগুলিকে দেখা গেল ফিলিং স্টেশন থেকে সরাসরি বিভিন্ন শহরে অক্সিজেন ট্যাঙ্কারগুলিকে উড়িয়ে নিয়ে যেতে। আবার ফেরার পথে ফাঁকা ট্যাঙ্কারগুলিও তারা পৌঁছে দেবে ফিলিং স্টেশনগুলিতে। এই ব্যবস্থার ফলে অনেক দ্রুত ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে রাজ্য়ে অক্সিজেন পৌঁছে দেওয়া যাবে, এমনটাই বলা হচ্ছে। এর ফফলে ভারতে হঠাৎ যে অক্সিজেন সংকট তৈরি হয়েছে, তার সুরাহা হবে বলেই আশা কেন্দ্রের।
বায়ুসেনাকে এর আগে এয়ারস্ট্রাইক করতে দেখা গিয়েছে। ইউং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমানদের পাক হামলা প্রতিহত করতে দেখা গিয়েছে। এরই পাশাপাশি কেদারনাথের হরপা বান হোক কিংবা অন্য কোনও প্রাকৃতিক বিপর্যয়েও তাদের উদ্ধারকাজে সামিল হতে দেখা গিয়েছে। বর্তমানে কোভিডের দ্বিতীয় তরঙ্গ যখন ক্রমেই দেশে সুনামি হয়ে আছড়ে পড়ছে, সেই সময় অক্সিজেনের সঙ্কট মেটাতেও এগিয়ে এল তারা।