'সাবাশ মমতা', বিনামূল্যের টিকা পেতে বাংলায় দিতে হচ্ছে টাকা - তীব্র কটাক্ষ বিজেপির

Published : Jun 27, 2021, 04:15 PM ISTUpdated : Jun 29, 2021, 03:18 PM IST
'সাবাশ মমতা', বিনামূল্যের টিকা পেতে বাংলায় দিতে হচ্ছে টাকা - তীব্র কটাক্ষ বিজেপির

সংক্ষিপ্ত

রাজ্যে রাজ্যে বিনামূল্যে টিকা পাঠাচ্ছে কেন্দ্র কিন্তু, বাংলায় তা পেতে দিতে হচ্ছে টাকা অভিযোগ করলেন বিেপির অমিত মালব্য টুইট করে মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়কে এর জন্য 'সাবাশি' দিলেন তিনি

'সাবাশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়'। রবিবার আচমকাই বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্যর টইটে মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের নামে সাবাশি। কেন? একদিকে যখন ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ড নিয়ে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি, তারমধ্যেই, এক সংবাদ প্রতিবেদন উল্লেখ করে অমিত মালব্য তথা রাজ্য বিজেপির অভিযোগ কেন্দ্রের থেকে বিনামূল্যে করোনার টিকা পাঠানো হলেও, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনাধীন বাংলায় তা পেতে দিতে হচ্ছে টাকা।

অমিত মালব্যর অভিযোগ, শিলিগুড়িতে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ৩১৫ টাকা করে অনুদান দিলে তবেই মিলছে টিকা। এইভাবে, ঘুরপথে টিকাকরণের মধ্য দিয়ে অর্থ আদায় করছে রাজ্য। এদিন, টুইটবার্তায় অমিত মালব্য বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী মোদী সমস্ত রাজ্যে বিনামূল্যে কোভিড ভ্যাকসিন পাঠাচ্ছেন। তবে পশ্চিমবঙ্গে, মোদী সরকারের পাঠানো বিনামূল্যের ভ্যাকসিন পাওয়ার জন্য আপনাকে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের ত্রাণ তহবিলে বাধ্যতামূলকভাবে মাথাপিছু ৩১৫ টাকার 'অনুদান' দিতে হবে। সাবাশ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।'   

বিজেপির অভিযোগ, শিলিগুড়িতে বিভিন্ন বণিকসভা, পর্যটন ব্যবসায়ী, ক্ষুদ্র শিল্প উদ্যোগ-সহ বিভিন্ন সংস্থার পক্ষ থেকে তাদের কর্মীদের টিকা দিতে গেলে, টিকা পিছু ৩১৫ টাকা করে জমা দিতে হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে স্বেচ্ছায় টাকা দেওয়ার কথা বলা হলেও, কার্যত সেটা বাধ্যতামূলক। কারণ, বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ওই টাকা দিয়ে রসিদ দেখালে তবেই দেওয়া হচ্ছে টিকা। বেসরকারি সংস্থার কাছ থেকে টিকা নিতে গেলে টিকা পিছু গড়ে ৮০০ টাকা করে লাগছে। তাই রাজ্যের ত্রাণ তহবিলে ৩১৫ চাকা দিয়ে টিকা নেওয়াটাই সুবিধাজনক মনে করছেন তাঁরা। অনেকে আবার খুশিমনেও টাকাটা দিয়ে দিচ্ছেন।

প্রশ্ন উঠছে, মুখ্যমন্ত্রী যেখানে খোদ নির্বাচনের আগে থেকে বিনামূল্যে রাজ্যের সকলকে  টিকা দেওয়ার কথা বলেছিলেন, তারপর কেন্দ্রের পক্ষ থেকেও বিনামূল্যে সকলকে করোনা টিকা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে, সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে টাকা দিলে তবেই কেন টিকা মিলছে? জানা গিয়েছে, সম্প্রতি, রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জেলায় জেলায় একটি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। সেখানে টিকাকরণের প্রক্রিয়া জানানোর সঙ্গে সঙ্গে দুটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিশদ দেওয়া হয়েছে। নোটিশে বলা হয়েছে, কেউ কোভিড কেয়ার ফান্ডের জন্য টাকা দিতে ইচ্ছুক হলে ওই অ্যাকাউন্টে পাঠাতে। সেই, নোটিশ ধরেই শিলিগুড়িতে  একেবারে টাকার অঙ্ক বেঁধে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।

রাজ্য বিজেপির অভিযোগ, রাজ্য়ে কোনও পরিষেবা পেতে গেলেই কাটমানি দিতে হয়। টিকা নিতে গেলেও দিতে হচ্ছে। এ কোনও নতুন বিষয় নয়। এই ক্ষেত্রেও দলতন্ত্রই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে দাবি করেছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল।

 

PREV
click me!

Recommended Stories

News Round Up: বঙ্গে জাঁকিয়ে ঠান্ডা থেকে সিরিজ থেকে ছিটকে গেলেন অজি পেশার, সারাদিনের খবর এক ক্লিকে
AI প্রযুক্তির উন্নতিতে জোর, ভারতকে ১৭.৫ বিলিয়ন ডলার সাহায্যের প্রস্তাব মাইক্রোসফট সিইও-র